2 ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে গেল WhatsApp! 75 কোটি মানুষের তথ্য চুরি? কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব। সমাধান জানুন।

হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ হয়ে গেল WhatsApp এ।

আপনি কি সুরক্ষিত? WhatsApp এ কাজ করেন। বন্ধুর সাথে নিজের তথ্য শেয়ার করেন? কি কারণে চলছে না আপনার হোয়াটস্যাপ? তাহলে কি তথ্য চুরি গেল? গোপনীয়তা কি রক্ষা হচ্ছে সঠিক ভাবে? নাকি সার্ভার ডাউন। সকলের মধ্যেই প্রশ্ন জেগে উঠছে মুহুর্মুহু। এক্ষেত্রে কি হতে পারে সাইবার ওয়ার? আসল কারণ কি কারণ হতে পারে? আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।

আজ দুপুর 12 টা থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে WhatsApp. অস্বাভাবিক পরিস্থিতির স্বীকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দপ্তরের কাজ সাময়িক ভাবেই বন্ধ। এবারে কিভাবে চালু করবেন? আপনার সমস্যা সমাধান কিভাবে করবেন? এতো বড় কোম্পানি। তাদের অবশ্যই ব্যাকআপ সার্ভার থাকে যার মাধ্যমে তারা একটি সার্ভার ডাউন হলেও অন্য সার্ভারে ব্যাক আপ নিয়ে কাজ চালায়।

অবশেষে জানা যাচ্ছে ধীরে ধীরে দুপুর 2 টার পর থেকে কাজ করছে WhatsApp. বর্তমানে এই WhatsApp কে নিয়ন্ত্রণ করে মেটা। ভারতের আইটি মন্ত্রক থেকে এই বিষয়ে তথ্য তলব করেছে মেটা এর কাছে। তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। যদি কোন রকমের আপডেট এর কারণে অ্যাপ বন্ধ করা হয়, তাহলে আগে থেকেই গ্রাহকদের কথা ভেবে তাদের অবগত করা উচিত। কিন্তু এমন কোন তথ্য আগে থেকে শেয়ার করে নি মেটা।

WhatsApp ব্যবহারকারীর 44 হাজার টাকা জলে। সাইবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে সাবধান হন এখুনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার অ্যাটাক এর তথ্যকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই। যতক্ষণ পর্যন্ত মেটা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোন তথ্য সামনে না আনছে ততক্ষণ পর্যন্ত তেমন বিশেষ কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা থাকে এই WhatsApp এ। আর তার সুরক্ষা নিয়ে এবারে প্রশ্ন উঠছে প্রত্যেক মহলে।

এক বিশেষজ্ঞ এর মতে, এতো বড় কোম্পানি ভারতে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা করছে। তাদের কাছ থেকে এতটা খারাপ পরিষেবা মানুষের আশার বাইরে। কোটি কোটি মানুষ তাদের কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে এই অ্যাপ্লিকেশন। হঠাৎ করে তা কাজ করা বন্ধ করে দেওয়াতে অনেকেই বেশ চিন্তিত। তবে এবারে এই পরিষেবা ধীরে ধীরে কাজ করলেও মানুষের মনে যে প্রশ্নগুলি দানা বেঁধেছে, তা কিভাবে দূরীকরণ হয়, সেটাই এখন দেখার।

সবার মাথায় বজ্রাঘাত, এবার টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ!

তবে বিপদআসার আগেই সাবধানতা নিয়ে রাখা ভালো। এখন থেকে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য ইন্টারনেট মাধ্যমে কিভাবে আরও সুরক্ষিত রাখতে পারবেন, সে বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। আর অতি প্রয়োজনীয় তথ্য হার্ড কপিতে রাখাই মনে হয় সব থেকে সুরক্ষিত উপায়। কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে আপনার তথ্য? এ বিষয়ে নজর রাখুন, পরবর্তী প্রতিবেদনে। ধন্যবাদ
Written by Mkta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button