Service Rules – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কড়া নির্দেশ, এই কাজ করলে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে।
ইচ্ছা করলেই আর অফিস থেকে বেরোনো যাবে না, Service Rules সংশোধন করে কড়া পদক্ষেপ নবান্নের।
সরকারি চাকরি করে অফিস টাইম (Office Time Service Rules) এর সময় নিজের দপ্তরে গরহাজির থাকা এবার থেকে আর একেবারেই চলবে না, কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবং অর্থ দপ্তরে আচমকা ভিজিট করেন। সেই ভিজিটের সময় দেখতে পান বহু সরকারি কর্মচারী তাদের নিজস্ব জায়গায় নেই। গরহাজির (Govt Employees Absent) রয়েছেন বলে জানা যায়।
আর তারপরেই কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নবান্ন।(West Bengal Government Instructed All Employees to maintain Punctuality) বর্তমানে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে শহীদ মিনার চত্বরে বসে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি দপ্তরে কাজের বালাই নেই, একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, আর আন্দোলন চলছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, কাজের দায়িত্ব সম্বন্ধে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, অর্থ মন্ত্রকের বিধি অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের উপযুক্ত কারণ ছাড়া সরকারি দপ্তরে অনুপস্থিত থাকা চলবে না। সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। অফিস চলাকালীন বাইরে যাওয়া চলবে না। সে ক্ষেত্রে বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে যখন টিফিন বিরতি চলবে, তখনই সরকারি কর্মচারীরা বাইরে বেরোতে পারেন।
আর অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি (Service Rules) প্রকাশ হওয়ার পরেই সরকারি কর্মচারীদের মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল, আগামী সোমবার থেকে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে কর্মবিরতির পথে হাঁটতে পারেন। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং কো-অডিনেশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এক্ষুনি তারা কোনো কর্মবিরতির (Strike) পথে হাঁটছেন না। সরকার অফিস যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, তাতে তারা টিফিন বিরতির সময়েই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবেন।
West Bengal Employee Service Rules
মুখ্যমন্ত্রী ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবং অর্থ দপ্তরে আচমকা পরিদর্শন করে কর্মচারীদের অনুপস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আর তারপরেই নবান্নের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে আরো জানানো হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি অফিস টাইমে কর্মবিরতিতে অংশ নেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে হাটা হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী যদি ছুটি নিতে চান, সেক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সিনিয়র অফিসারের কাছে সবিস্তার কারণ দর্শাতে হবে।
সুখবর! চাকরি বাতিল হচ্ছে না 32 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের, আদালতের নির্দেশ
তিনি যদি সেই ছুটি উপযুক্ত মনে করে মঞ্জুর করেন, তবেই তিনি ছুটি নিতে পারবেন। এছাড়াও সোমবার থেকে কোনো সরকারি কর্মচারী নির্দিষ্ট উপযুক্ত কারণ ছাড়া সরকারি অফিসে অনুপস্থিত (Service Rules) থাকতে পারবেন না। সরকারের তরফে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে ৪টি কারণে ছুটি মঞ্জুর করার কথা বলা হয়েছে।
যদি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অসুস্থতা জনিত কারণ থাকে, নিকটাত্মীয় কেউ মারা গেলে, কোনো কর্মচারীর মাতৃত্বজনিত বা অসুস্থতা জনিত কোনো কারণ যদি থাকে, এই কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। সেক্ষেত্রে ১৯ মে থেকে যারা অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন তাদের ছুটি মঞ্জুর করা হবে। অফিস ছাড়তে হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে হবে। নির্দিষ্ট উপযুক্ত কারণ ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারি কর্মচারীরা নিজের দপ্তরে (Service Rules) অনুপস্থিত রয়েছেন। তার উপরে ডিএ আন্দোলনের আবহে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ অধিকাংশ সময়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। ফলে সরকারি পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আর তাই সরকারি কর্মচারীদের জন্য কড়া পদক্ষেপের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।