লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা কাটছে! আর টাকা পাবেন না, এই নিয়ম না মানলে। লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক লিস্ট।

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা চালু রাখতে হলে সরকারের এই নিয়মগুলো মানতেই হবে, নাহলে সমস্যার শুরু।

রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে একটা নিয়মিত আর্থিক সাহায্য করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে SC/ST মহিলারা প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা পান এবং সাধারণ শ্রেণী ও ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন। মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে সরকারের এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা প্রতি মাসে নিয়মিত পৌঁছে যায়।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পঃ

এবার বেশ কিছুদিন যাবত দেখা যাচ্ছে, বহু মহিলা অভিযোগ করছেন, ব্যাংক একাউন্ট থেকে তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কি কারনে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মহিলাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে (Why Money Deducting in Lakshmir Bhandar Scheme)? স্বাভাবিকভাবেই মহিলারাও এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইছেন, কেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা কাটছে?

লক্ষ্মীর ভান্ডার পোর্টালঃ

এবার এই টাকা কাটার কারণ হিসেবে যা জানা গিয়েছে, যখন রাজ্য সরকার লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল, ঠিক সেই সময়ে বহু মহিলা এতে নাম নথিভুক্ত করেন। তার মধ্যে এমন অনেক মহিলা আছেন, যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার এর টাকা নিয়মিত ব্যাংক একাউন্টে পাওয়ার যোগ্য নন। তবুও তারা সেই সময় অর্থাৎ প্রথম দিকে নাম নথিভুক্ত করে নিয়মিত ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে গিয়েছেন। এবার রাজ্য সরকার এখানেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যে সমস্ত মহিলারা লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার অযোগ্য, তাদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প Status:

যেখানে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম-কানুন না মানলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে (New Rules) আর সেই সমস্ত মহিলারা টাকা পাবেন না। যদি কোনো মহিলার একাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বেশি টাকা পৌঁছে গিয়ে থাকে বা ভুলবশত একাউন্টে টাকা চলে যায়, তাহলে সেই একাউন্ট থেকে সরকারের তরফে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি চালুর সময় প্রথম দিকে যে সমস্ত মহিলারা ডকুমেন্টস না থাকা সত্ত্বেও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাদের এখন থেকে সরকারের এই নতুন নির্দেশ মানতে হবে।

আরও পড়ুন, আধার কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট থাকলে মাসে 3000 টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেকঃ

যদি তা না মানতে পারেন, তাহলে তাদের Laxmi Bhandar এর টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এখানে আরেকটি বিষয়ে জানার দরকার, সেটি হল, বহু মহিলাই ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময়ে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনার মতো প্রকল্পে ফরম পূরণ করার সময়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। এবার সেই প্রকল্পের জীবন বীমা হিসেবে ৩৩০ টাকা বা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অংকের টাকা প্রতিবছরে কেটে নেওয়া হচ্ছে। তবে যদি কেউ সেই টাকা কেটে নেওয়া বন্ধ করতে চান, তাহলে স্থানীয় ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সেই প্রকল্পটি বন্ধ করতে পারেন।

রেশন তোলার নতুন নিয়ম (Ration Aadhaar Link)

লক্ষ্মীর ভান্ডার লিস্টঃ

এছাড়াও জানা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা Laxmi Bhandar প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য নন, অথচ বেশি পরিমাণে এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে গিয়েছেন, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ন্যায্য উপভোক্তারা যাতে পায়, সেই কারণে নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়মিত ব্যাংক একাউন্টে পেতে গেলে সরকারের এই নির্দেশগুলি মানতে হবে (New Rules of Lakshmir Bhandar Scheme):

আরও পড়ুন, রেশন কার্ড থাকলেও 30 জুনের পর মিলবে না বিনামূল্যে চাল, গম অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী, কেন?

লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম ও শর্তাবলীঃ

  • মহিলার নামে সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • ওই মহিলার নামে পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে হবে।
  • SC/ST সম্প্রদায় ভুক্ত মহিলাদের ১০০০ টাকা করে পেতে হলে সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে হবে।
  • বিধবা ভাতা ছাড়া সরকারের অন্য কোনো প্রকল্পের টাকা পেলে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার যোগ্য নন।

শবে মনে রাখবেন, এই প্রকল্প সারা দেশ তথা বিশ্বে নজড় কেড়েছে। তাই সঠিক উপভোক্তা এই টাকা অবশ্যই পাবেন। টেকনিক্যাল বা ব্যাংকিং ত্রুটির জন্য অনেকের টাকা পেতে দেরি হলেও এই প্রকল্প বন্ধ হওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকারের নেই। তাই স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে সুখবর বাংলা এর সঙ্গে থাকুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button