Krishak Bandhu Status – কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন না রাজ্যের এই সমস্ত কৃষকরা। প্রচুর নাম বাদ গেল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু করা ৭০ টিরও বেশি জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu Status) হল কৃষকদের জন্য অন্যতম প্রকল্প। দরিদ্র কৃষক শ্রেণীর মানুষদের উন্নতির জন্য চালু করা হয়েছে এই বিশেষ প্রকল্প। Krishak Bandhu Status প্রকল্পের দ্বারা রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে মাসিক একটি মোটা টাকার ভাতা প্রদান করে থাকে।
West Bengal Krishak Bandhu Status
এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত উপকার পেয়েছেন রাজ্যের বহু কৃষক। সাধারণত বছরে দুবার কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকে এই প্রকল্পের অধীনে। খারিফ মরসুমের টাকা ঢোকে সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আর রবি মরসুমের টাকা ঢোকে জানুয়ারি মাস নাগাদ। সেই অনুযায়ী খারিফ মরসুমের টাকা আবারো ঢুকতে শুরু করেছে কৃষকদের একাউন্টে। কিন্তু বহু কৃষকই লাভ করছেন না এই কৃষক বন্ধুর টাকা। কেন ঘটছে এমনটা?
Krishak Bandhu Status Check
এবারে সরকার জানিয়েছে যে বেশ কিছু কৃষকদের বঞ্চিত করা হবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে। কারণ তাদের অনেকেই প্রকল্পের নির্দিষ্ট শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু কার কার নাম বাদ দেওয়া হল (Krishak Bandhu Status) এক্ষেত্রে। আপনার নামটিও নেই তো তালিকায়? দেখে নিন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা
১. যে সমস্ত কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেন তাদের রাজ্য সরকার মারফত সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।
২. সেই সঙ্গে যদি সেই কৃষকের মৃত্যু ঘটে তাহলে সেক্ষেত্রে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধাও দেওয়া হয়ে থাকে।
কারা পাবেন না এই প্রকল্পের টাকা?
১. একটি পরিবার থেকে যে কোন একজন ব্যক্তিই পাবে এই প্রকল্পের টাকা। একাধিক ব্যক্তি আবেদন করলে অন্যদের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
২. কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য অনলাইনে কেওয়াইসি নথিপত্র (Krishak Bandhu KYC) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যে সমস্ত কৃষকেরই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি তাদের টাকাও ঢুকবে না এবারে।
আরও পড়ুন, মাত্র ৫০০ টাকা গ্যাসের খরচ। কিভাবে পাবেন জানতে ক্লিক করুন।
৩. যাদের যাদের আবেদনপত্রে কোনো তথ্য Krishak Bandhu Form এ যেমন নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ অন্যান্য কিছু তথ্য ভুল ভ্রান্তি রয়েছে তাদের টাকাও প্রদান করা হবে না এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
৪. কৃষক বন্ধুর টাকা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জমির। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যে সমস্ত কৃষকদের ২ হেক্টরের কম পরিমাণ জমে রয়েছে তারাই এই প্রকল্পের টাকা পান। যাদের তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমি রয়েছে তাদের দেওয়া হবে না এই টাকা।
আরও পড়ুন, পুজোর সময় এই 5 টি ব্যবসা সারা বছরের রোজগার এনে দেবে।
তাই দ্রুত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তারপর সেখান থেকে লিস্ট ডাউনলোড (Krishak Bandhu Status) করে দেখে নিন কাদের কাদের টাকা দেওয়া হতে চলেছে এবারে। যদি আপনার নাম থাকে তবে বুঝবেন আপনার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। অর্থাৎ সরকার আপনাকে প্রকল্পের টাকা দেবে। আর যদি না থাকে তবে বুঝবেন এই সমস্ত কোন একটি কারণেই আপনার নাম কাটা গেছে। তাই এখন থেকে আর আপনি পাবেন না এই প্রকল্পের টাকা।
Written by Nabadip Saha.