West Bengal – একটি পরিবার একটি এসি, এই গরমে বিদ্যুৎ বাঁচাতে নয়া পদক্ষেপ নাবান্নের।
West Bengal – গরমে বরাদ্দ একটি করে এসি, জানাল নাবান্ন।
চূড়ান্ত গরম রাজ্যের (West Bengal) সর্বত্র। হাসফাঁস অবস্থায় মানুষের ভরসা এয়ার কন্ডিশনারের কৃত্রিম ঠান্ডা। এদিকে মাত্রাতিরিক্ত এসির ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। গত কাল কলকাতার সিঁথির মোড়, বেহালার কালীতলাসহ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে লোড শেডিং ছিল। এই ঘটনা আকছার ঘটছে এখন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন এসির যথেচ্ছ ব্যবহারে রাশ টানতে চাইছে কলকাতা পুরসভাও। সচেতনতা মূলক প্রচার চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পরিবারপিছু একটি এসি-ই যাতে ব্যবহার করা হয়, সেই প্রচার চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। পুরসভার পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় এসির বিক্রি গড়ে প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নিয়ে বড় বিভ্রাট! কবে ঢুকবে টাকা জানুন আসল খবর।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দারের জানান, “গত তিন বছরে শহরে এসি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। আগে একটি পরিবার একটি এসি কিনত। কিন্তু এখন অনেক বাড়িতেই ৩-৪টি এসি কেনা হচ্ছে। আমরা শহরবাসীর কাছে আবেদন করতে চলেছি, খুব প্রয়োজন ছাড়া দু’টি এসি ব্যবহার করবেন না।”
তবে পুরসভার (West Bengal) তরফে পরিবার পিছু এসির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও পুরসভারই বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক এসি লাগানো আছে। নয়া নিয়ম চালু করা হলে সেই গুলির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ক্রমাগত বায়ুদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে পুরসভার গঠিত কমিটির তরফে শহরে যথেচ্ছ এসির ব্যবহার বন্ধের সপক্ষে এখন থেকেই প্রচার চালানোর আর্জি রেখেছে।
ওই কমিটির অন্যতম সদস্য, বোস ইনস্টিটিউটের পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মত, “জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে শুধু বৃষ্টিপাতের পরিমাণই কমেনি, আছড়ে পড়ছে ইয়াস বা উম্পুনের মতো ঘূর্ণিঝড়। উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্যেও। এসির ব্যবহার কমলে গরমের মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।”
এসি আদতে পৃথিবীর (West Bengal) তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এরই সাথে এসি থেকে নির্গত হয় হাইড্রোফ্লুরোকার্বন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং নাইট্রাস অক্সাইড। এই সবগুলিই গ্রিন হাউস গ্যাস। আর এদের কাজই হল গ্লোবাল ওয়ার্মিং সৃষ্টি করা। তবে এই গ্যাসগুলি ওজোন স্তরেও ক্ষয় করে। আসলে, ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহৃত হয় হওয়া এই গ্যাসগুলি বায়ুর তুলনায় হালকা হওয়ার জন্য এরা বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উঠে গিয়ে ওজ়োন স্তরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে , ওজ়োন স্তরের ক্ষতিসাধন করে। তাই পরবর্তীতে গরম থেকে মুক্তি চাইলে এসির ব্যবহার যথাসাধ্য কমিয়ে গাছ লাগানোর উপর জোর দিতে হবে। কারণ গাছই পারে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে।