পশ্চিমবঙ্গে ডিএ মামলা নিয়ে জোর ধাক্কা খেল সরকারি কর্মী ও শিক্ষকেরা। কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ আদালতের।

শিক্ষকদের ডিএ আন্দোলনে, ডিএ মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের। অবশেষে মিটলো সমস্যা?

শিক্ষকদের একটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে এক মিছিলের ডাক দেওয়া হয় রাজ্যে। ডিএ মামলা (Dearness Allowance) নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভে অবতীর্ণ হন কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা। বিক্ষোভের দাবি ছিল বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো এবং অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে। এমনকি হাইকোর্টের কাছে এবিষয়ে ডিএ মামলা দায়ের করে তার শুনানি দেওয়ারও দাবি জানান তারা। হাইকোর্ট সেই নির্দেশ না মানলে তারা ধর্না দিতে শুরু করেন বিকাশ ভবনের সামনে। কিন্তু তাদের ঝামেলার ফলে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে হাইকোর্ট। এবং তারপর বাধ্য হয়ে তারা এই বার্তা দেন সমবেত সকল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে।

মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবি নিয়ে আজ থেকে তিন বছর আগে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মজীবীরা। তা নিয়ে একাধিক ঝামেলা ঝঞ্ঝাট এমনকি মামলাও চলেছে। তার নিষ্পত্তি এখনো পর্যন্ত হয়নি। গত ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনের পরিচালনায় কলকাতার করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের সামনে আন্দোলন করেছিলেন ৮০০০ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী।

একগুচ্ছ দাবি ডিএ মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শুরু করা হয়েছিল এই বিক্ষোভ। যার মধ্যে ছিল শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, স্কুলে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি এছাড়া আরো অনেক। এই সমস্ত দাবি জানিয়ে একটি ডেপুটেশন তারা জমা করেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের মুখ্য সচিবের কাছে। মুখ্য সচিব তাদেরকে আশ্বাস নেন যে তিনি উপমহলে তাদের দাবিগুলি নিয়ে আবেদন জানাবেন।

যদিও সে সম্পর্কে আর কোন সদুত্তর মেলেনি এখনো পর্যন্ত। এছাড়াও চলতি মাসের গত 10 এবং 11 তারিখ রাজ্যের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে ডাক দেওয়া হয়েছিল সারা রাজ্যে ধর্মঘটের। এই দুদিন অফিসকর্মীরা থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষক সকলেই পালন করেছিলেন কর্ম বিরতি। এই প্রতিবাদের উত্তরেও নড়েচড়ে বসেনি সরকার। বরং আন্দোলনে সামিল একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ যে সরকার নাকি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে দূরে বদলি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন, পুজো উপলক্ষ্যে ডবল ডবল রেশন পাবেন। কোন কার্ডে কি রেশন পাবেন জেনে নিন।

সে যাই হোক, সুপ্রিম কোর্ট তরফে রাজ্য সরকারের এই শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্তকে খারিজ করা হয় অবশেষে। আর তাতে রেহাই পান শিক্ষকরা।
তবে এবার বিকাশ ভবন এর সামনে মামলার শুনানি চেয়ে ধর্না দেওয়া শিক্ষকদের হতাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির কাছে শিক্ষকরা শুনানির আর্জি জানালে তিনি তাদের মুখের ওপর সাফ জানিয়ে দেন, “পুজোর আগে এই মামলা শুনব না। শিক্ষকরা বিক্ষোভ করছেন, করুক।

আরও পড়ুন, আবারও বিক্রি হওয়ার মুখে 4টি জনপ্রিয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বন্ধ হবে কোটি কোটি একাউন্ট।

প্রতি দিন শহরে ১৫টি করে মিছিল হচ্ছে। সংবাধমাধ্যমে দেখলাম অফিসযাত্রী, বাচ্চারা হয়রান হচ্ছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করতে দিন। কিন্তু কোর্ট কোনমতেই এখন এই মামলার কোন শুনানি দেবেনা। এই অবস্থায় আমি Dearness Allowance আন্দোলনকারীদের প্রতি কোনও সহমর্মিতা দেখাতে পারব না। আমি খুবই দুঃখিত।”
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button