DA চাইতে গিয়ে আজ আবার মার খেলো পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা।

নিজেদের ন্যায্য DA চাওয়া টা ও কি অপরাধ? প্রশ্ন কর্মীমহলের।

আবারও সরকারি কর্মীর গায়ে পুলিশের হাত তোলার ঘটনা প্রতক্ষ্য করল শহর কলকাতা। বুধবার DA এর দাবিতে বিধানসভা অভিযানে গিয়ে এবার পুলিশের ঘুসি খেলেন এক সরকারি কর্মী। অভিযোগের তির উঠল কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার দিকে। তাঁর নেতৃত্বেই এদিন বিধানসভা গেটের সামনে চলছিল পুলিশি ‘অত্যাচার।’

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। আদালতের নির্দেশ মতো, রাজ্য সরকারকে DA বাড়াতে হবে, এই দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা পরে চলে আসেন বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে। বিশাল জনতাকে আসতে দেখেই ঘটনাস্থলে আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। তারা টেনে হিঁচড়ে সরকারি কর্মচারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলেন। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ নারী – পুরুষ কোনও বাছবিচার করা হয়নি। সেই সময়তেই এক পুলিশকর্মীকে এক সরকারি কর্মচারীর পেটে ঘুসি চালাতে দেখা যায়।

পশ্চিমবঙ্গে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে অপেক্ষার অবসান, বিদ্যুৎ কর্মীদের পর এবার DA পেতে পাবেন রাজ্য সরকারী কর্মীরা।

অবশেষে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পুলিশের হাতে কর্মীর নিগ্রহের ঘটনায় সরকারি কর্মচারী সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘আদালত ঘোষণা করেছে ডিএ আমাদের অধিকার। তার পরও আমাদের DA দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। ডিএ চাইলে আমাদের সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করছে পুলিশ। আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাই। আমাদের অধিকার আমরা আদায় করে ছাড়ব।

এদিকে ডিএ আন্দোলন নিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বাবু বলেন, সরকারি কর্মীরা আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও ডিএ পায়নি, সেই দাবিতে গনতান্ত্রিক নিয়ম মেনেই আন্দোলন করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব, সেই পুলিশ কর্মী যারাও DA থেকে বঞ্চিত, তাদের দিয়েই সরকারি কর্মীদের মার খাওয়ালো। সরকারী কর্মীরা বোম ছোড়েনি। তারা ক্রিমিনাল নয়। কেউ দোষ করলে সেটা সরকার, কারন তারা আদালতের নির্দেশ মানে নি।

পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মীদের Salary Hike বা DA এবার দিল্লী থেকে আসবে, সুপ্রীম কোর্ট থেকে বড় আপডেট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েক সপ্তাহ আগে এই আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে এক্সাইড মোড়ে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিশাল পুলিশ। পুলিশের কামড় খেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল। পুলিশের এমন আচরণ কতটা কাম্য প্রশ্ন উঠেছিল সেই নিয়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button