রাজ্যের স্কুলে শিক্ষকদের কাছে জবাবদিহি চেয়ে পাঠাল শিক্ষাদপ্তর, বিস্তারিত আলোচনায় জেনে নিন।
ধর্মঘটে অংশ নেওয়া স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি শিক্ষাদপ্তর থেকে যাচ্ছে নোটিশ। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ বঞ্চনা নিয়ে আন্দোলনের জের মহানগরী কোলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। আন্দোলন ৪৫ দিন অতিক্রান্ত, সাথে সাথে অনশন চলছে ৩১ দিনে। এই নিয়ে আজ মাননীয় রাজ্যপালের সাথে হয়েছে আন্দোলনকারীদের সাথে ৫ সদস্যের বৈঠক। তবে গত ১০ই মার্চ তারিখে হয়েছে সারা রাজ্যে ধর্মঘট। ঐ দিনে রাজ্যের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক ধর্মঘট সমর্থন করেছিলেন। এবারে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাদপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেবার প্রক্রিয়া চালু রাজ্যে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের নোটিশ পাঠাচ্ছে শিক্ষাদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অফিস থেকেই।
বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে, এই দাবিতে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের অধীনে থাকা স্কুল শিক্ষক সহ সরকারি কর্মচারীরা শুক্রবার, ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছিল। এই বনধের প্রভাব পড়ে স্কুলগুলোতেও। গতকাল বনধের জেরে বেশ কিছু জেলায় স্কুল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছিল। বনধকে সমর্থন জানিয়ে অনেক স্কুলেই তুলনামূলক কম সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা এসেছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকেই এমনটাই অভিযোগ এসে পৌঁছচ্ছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে।
এই প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিকেল পাঁচটার মধ্যে কারা কারা অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করে নবান্নে পাঠাতে। স্কুল শিক্ষাদপ্তরও অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করতে বলে বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। সেই তালিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের হাতে।
দেখা গিয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা অনুপস্থিত ছিলেন শুক্রবার। অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকাও ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, জেলাভিত্তিক সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে, শুক্রবার কোচবিহার জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপস্থিত থাকার সংখ্যা সব থেকে বেশি।
এদিকে আলিপুরদুয়ার, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলাতেও লক্ষণীয়ভাবে শিক্ষকদের অনুপস্থিতির হার বেশি। সরকারের বারণ স্বত্বেও অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে নবান্নের মতামত রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর চেয়েছে বলেই খবর।
নবান্নের তরফে কোনো নির্দেশিকা পেলেই সেই নির্দেশিকা মেনে পদক্ষেপের পথে হাঁটবে বলেই স্কুল শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য অর্থ দফতর আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল, শুক্রবারের ডাকা ধর্মঘটের দিন কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক এবং শোকজ করা হবে। পাশাপাশি একদিনের বেতনও কাটা যাবে।
সাপ্তাহিক রাশিফল (13-19শে মার্চ, 2023) – মেষ থেকে মীন, পার্ট-1 দেখে নিন।
শুধু তাই নয়, শো কজের উত্তর যথাযথ না হলে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে, এমনটাও বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। তবে সেই সব নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি কর্মীরা যে ভালো ভাবেই বনধ পালন করেছেন, তা বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হারই জানান দিচ্ছে।
যদিও সরকার বনধ সফল হয়েছে,তা মানতে নারাজ! শুক্রবার নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল রাজ্য জুড়ে উপস্থিতির হার ৯০%-এর বেশি ছিল গতকাল। এর পাশাপাশি যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তার মধ্যে বেশিরভাগই শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি বলেও দাবি করা হয় বিবৃতি দিয়ে।
সাথে অবশ্য, নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, এ ছাড়া যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তবে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করা হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা জানার জন্য নবান্নের উপরেই নির্ভর করে আছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
Written by Parna Banerjee.
It’s truly surprising that inspite of continuous strike for the D.A the government departments are able to manage their work without the help of those workers who kept themselves away from their job for the last couple of weeks. Does it prove that these people are excess manpower and only enjoying the salary from the direct/ indirect taxes paid by the general people. These people should immediately be identified & removed in order to reduce the cost (salary head) which in turn a liability on general people.