WBBPE TET – 32000 প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল মামলার বিরাট আপডেট। আদালতের সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের ভাগ্যলিপি।
চলতি বছরেই প্রাথমিকে WBBPE TET Exam দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত পুরো প্যানেলের মধ্যে ৩২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের তালিকা জমা পড়ে হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণা করে জানায় এই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের কথা। সেই সঙ্গে নতুন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয় পর্ষদকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তখন স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের সেই রায়ের উপর।
WBBPE TET 32000 teacher case update
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাইকোর্ট সেই সমস্ত শিক্ষকদের নির্দেশ দেয় তাদের নথিপত্র কোর্টে পেশ করার। সেই সঙ্গে আরো জানানো হয় যে যতদিন না চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হচ্ছে ততদিন চাকরি বহাল থাকবে সেই সমস্ত শিক্ষকদের। আর এবার সেই ৩২ হাজার শিক্ষকদেরই চাকরি বাতিল হবে কিনা সেই নিয়ে আরো একবার শুনানি দিলো হাইকোর্ট।
গত ১০ বছর যাবৎ রাজ্যে যে সমস্ত WBBPE TET শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাগুলি হয়েছে এসব গুলিতেই কোন না কোন দুর্নীতির ছাপ স্পষ্ট রয়েছে আশংকা বিচারপতির। প্রাথমিক WBBPE TET থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এই সমস্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা শিক্ষার হয়েছেন বিভিন্ন জালিয়াতির। সেই নিয়ে একাধিকবার মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে এমনকি মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। WBBPE TET নিয়ে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ বিচার করে সেই সমস্ত মামলায় ইতিমধ্যেই অনেকবার শুনানি দিয়েছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
আর এবারও একইভাবেভঁWBBPE TET প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে আবার কেস উঠল হাইকোর্টে। গতকালই কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয়টি নিয়ে শুনানি ঘোষণা করা হয়। একসঙ্গে মোট 41 টি মামলা কে একত্রিত করে দেয়া হয় শুনানি। মামলাটি ওঠে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু শুনানির দ্বারা এবারও কোনরকম সুরাহা হলো না শিক্ষকদের।
বরং আবারো স্থগিতাদেশ মিললো সেই মামলায়। যাইহোক এতে লাভ হলো তো সেই WBBPE TET শিক্ষকদেরই, কারণ তারা চূড়ান্ত কোন রায় না পাওয়া পর্যন্ত নিজেদের চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর আগেরবার যখন সুপ্রিম কোর্ট সেই শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল তখন সেই নিয়ে পর্ষদের তরফে একটি আবেদন জমা করা হয় উচ্চ আদালতের কাছে।
সেই আবেদনে জানানো হয়েছিল যদি সেই WBBPE TET ৩২ হাজার শিক্ষক তাদের চাকরি চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে নতুন করে আবার কেন নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ আরম্ভ করতে বলছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মহেশ্বরী এবং বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করা হয় পর্ষদের এই মামলাটি। যদিও সুপ্রিমকোর্টের তরফে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি তখন। বরং উচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্ত জানায় যে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হবে কিনা তা নির্ভর করবে হাইকোর্টের রায়ের উপরেই।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের দারুন সুখবর। পুজোর আগেই বকেয়া টাকা ঢুকে যাবে। নবান্নের নির্দেশ।
তবে সাময়িকভাবে WBBPE TET নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
আর এইবারেও হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না কোর্ট মারফত। কারণ শেষ পর্যন্ত জানানো হয় যে মামলার শুনানি সেদিন ঘোষণা করা হবে না।
সেই অনুযায়ী ওই মামলার শুনানির তারিখ আরো পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর ধার্য করেছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ আরো একবার অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলো শিক্ষকদের সামনে। তাদেরকে আবার অপেক্ষা করতে হবে কোর্টের কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া পর্যন্ত।
আরও আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp এ যুক্ত হোন।
Written by Nabadip Saha.