Primary TET Scam – ঘুষ দিয়ে যারা প্রাইমারী টেট শিক্ষক হয়েছেন, তাদের নাম, বাবার নাম সহ তালিকা প্রকাশ, মহাবিপদে প্রচুর শিক্ষক।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বা Primary TET Scam মধ্যেই নতুন ধরনের দুর্নীতি এবার সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক নিয়োগের পোস্টিং (Teachers Recruitment Posting Scam) নিয়েও দুর্নীতি করা হয়েছে। ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেখানেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
West Bengal Primary TET Scam
এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে কয়েকজন শিক্ষক মামলা দায়ের (Primary TET Scam) করেছিলেন। মামলাকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রথমে কাউন্সেলিং এর সময়ে বীরভূম, হুগলী সহ চারটি জেলায় কোনো শূন্যপদ তাদের দেখানো হয়নি। তাই মামলাকারীরা অন্যান্য জেলার স্কুল বেছে নিয়েছেন। তাদের বলা হয়েছিল এটাই শেষ সুযোগ। কিন্তু এর বেশ কিছুদিন পরেই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ পরে জেলাগুলির শূন্য পদ (Teachers Vacancy) ঘোষণা করা হয়।
আদালতের প্রশ্ন
এই মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই Primary TET Scam মামলায় নতুন ধরনের দুর্নীতি উঠে এসেছে। শূন্য পদ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে এই ডিজাইন করাপশন রয়েছে। এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কিভাবে মাত্র কিছুদিনেই শূন্যপদ তৈরি হয়ে গেল? তাহলে কি প্রায় ৪০০ নিয়োগ পদ্ধতিও এভাবেই হয়েছে?
দুর্নীতির তালিকা
সেকেন্ড নোটিফিকেশন হওয়ার পরই যে সমস্ত শিক্ষকরা বীরভূম, হুগলী সহ অন্যান্য জেলার স্কুলে যোগ দিয়েছেন, তাদেরও মামলায় যুক্ত করে শিক্ষকদের নাম, বাবা অথবা স্বামীর নাম সহ সমস্ত তথ্য একেবারে লিস্ট তৈরি করে মামলাকারীর আইনজীবীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পর্ষদের তরফে আইনজীবী বেশ কিছুদিন তালিকা তৈরির জন্য সময় চেয়েছেন। ২ আগস্ট পর্যন্ত আদালতের তরফে সেই সময় দেওয়া হয়েছে। ৩ আগস্ট Primary TET Scam মামলাটি ফের শুনানির জন্য আদালতে উঠবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফে প্রায় ৩৪৪ জনের ডিটেইলস হাইকোর্টে জমা পড়েছে। এরাই সেকেন্ড নোটিফিকেশনের সুবিধা পেয়েছিলেন। সেই লিস্টে ঠিকানা, বাবার নাম, পিন কোড, জেলা এবং ফোন নম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। তবে ১০ জন চাকরি প্রাপকের নাম এখনো তথ্যসমেত আদালতে জমা দেওয়া যায়নি। সেই বিষয়ে অবশ্য মামলাকারীর আইনজীবীদের সাহায্য করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারের বড় পরাজয়, বহাল থাকল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়।
এই সমস্ত তথ্য পর্ষদের কাছ থেকে নেওয়ার পরে সেগুলি CBI, ED এবং মামলাকারীদের সরবরাহ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে WBBPE পর্ষদ সমস্ত তথ্য জমা করতে পারে, সেই ব্যাপারে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে 16500 Primary TET Scam শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, সেখানেই নিয়োগের পোষ্টিং নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকজন শিক্ষক মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন, ঘরে বসে মাত্র 15 মিনিটে আয় করুন 1 হাজার টাকা, এই কাজ যেকেউ পারবে।