Primary TET – শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রায় ঘোষণা। জাস্টিস গাঙ্গুলীর সিদ্ধান্ত জেনে নিন।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) নিয়ে দুই আদালতে মামলা তো চলছে বহুদিন ধরেই। তবে এ মাসেই প্রাইমারি টেট এবং এসএসসির সমস্ত মামলা থেকে হাত তুলে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল এবার থেকে এই সংক্রান্ত বিচার আর তারা করবেনা। সেইমতো সব কেস তারা পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক তিন মাস সময় হাতে দিয়ে হাইকোর্টকে জানানো হয় এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ মামলার সমস্ত কেস মিটিয়ে দিতে।

WBBPE Primary TET Recruitment

তাই ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এবার প্রাথমিকের একটি কেস (Primary TET Case) আদালতের দরবারে উঠতে না উঠতেই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে বিচারপতির রায়ে শেষ পর্যন্ত আশার আলো দেখলেন মামলাকারীরা।

এক্ষেত্রে মামলাটি ঠিক নিয়োগ (Primary TET) সংক্রান্ত নয়। আদালতের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এক মৃত স্কুল শিক্ষিকার ছেলের মায়ের চাকরি পাওয়ার অধিকার কে কেন্দ্র করেই সূত্রপাত হয় এই মামলার। উত্তর 24 পরগনার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা (Primary TET) ছিলেন শলেমা খাতুন। ২০১৮ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তার। তার ছেলের নাম হল শেখ সাহিল।

মায়ের মৃত্যুর পর সেই চাকরিটি নিজে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাহিল। কারন আমরা জানি যে দেশের আইন অনুসারে একজন পিতা অথবা মাতার মৃত্যুর পর তার করা সরকারি চাকরিতে তার নিজস্ব ছেলে অথবা মেয়ে জয়েন করতে পারেন। এটিকে বলে কম্প্যাশনেট নিয়োগ (Primary TET). কিন্তু সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ মামলাকারী সাহিলের। তখন সাহিল নিজের অধিকার দাবি করে মামলা দায়ের করেছিলেন হাইকোর্টের কাছে।

সাহিল এর মার যখন মৃত্যু হয় তখন সাহিলের বয়স ছিল 15 বছর। স্বাভাবিকভাবেই চাকরিতে জয়েন করার বয়স হয়নি তখন তার। এই কারণে স্কুল কাউন্সিল (Primary TET) তার অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল তখন। বিষয়টি নিয়ে তখন মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। বিচারপতি স্কুল কাউন্সিলকে চিঠি দিয়ে জানান ছেলেটির ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করবে।

কিন্তু ১৮ বছর হলে তার আবেদন বিবেচনা করে দেখতে হবে স্কুল কাউন্সিলকে। তবে এক্ষেত্রে মামলা কারীর অভিযোগ যে ১৮ বছর হওয়ার পরও নাকি স্কুল কাউন্সিল তাকে কিছুতেই চাকরিতে জয়েন করতে দিচ্ছে না। তাই বর্তমানে তিনি নতুন করে কেসটি জমা (Primary TET) করেছেন হাইকোর্টের কাছে।
আজ সেই মামলার শুনানির দিন ছিল। আর এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।

আরও পড়ুন, বহুদিন পর রাজ্যে আশা কর্মী ও হেল্পার নিয়োগ। নিজের জেলাতেই হবে চাকরি।

মামলাকারী এবং স্কুল কাউন্সিল দুই পক্ষেরই আইনজীবীরা এদিন সওয়াল জবাব করেছিলেন কোর্টে। স্কুল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী জানান, একই ধরনের অন্য একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ জানিয়েছিল, এ ভাবে ‘কমপ্যাশনেট’ নিয়োগ করা যাবে না।

আরও পড়ুন, স্টাফ সিলেকসান কমিশনে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, সহজ আবেদনের পদ্ধতি দেখুন।

শিক্ষা দপ্তরের এরূপ সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, “আইভরি টাওয়ারে বসে আর বেশি দিন বিচার চলবে না। অনেক হয়েছে। গরিবের কথা কেউ চিন্তা করে না। তবে এবার সময় এসে গেছে। দরিদ্রের চোখের জলের হিসাব দিতে হবে আপনাদের।” যদিও সওয়াল জবাব পর্বের শেষে এ নিয়ে কোন চূড়ান্ত রায় এখনো জানায়নি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৮ শে নভেম্বর আবারো এর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে বিচারপতির এরকম বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো দেখছেন মামলা কারী প্রার্থী।
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button