Primary TET – প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আবারও জল্পনা। আদৌ কি সঠিক নিয়োগ হবে? জেনে নিন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বা Primary TET নিয়ে দুর্নীতির প্রশ্ন উঠে আসছে সেই কয়েকবছর থেকেই। টেট চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ, আন্দোলন শেষ পর্যন্ত মামলার রূপ নেয়। মামলায় শুনানির পর শুনানি হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। ২০১৪ সালে হওয়া টেটে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
WBBPE Primary TET News Update in Calcutta High Court
কিন্ত সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পর্ষদ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক টেট তথা Primary TET উত্তীর্ণদের প্যানেল প্রকাশের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে পৃথক মামলা করেন মৌটুসি রায়-সহ কয়েক জন চাকরীপ্রার্থী।
তাদের দাবি ছিল তারাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য কিন্ত মেধাতালিকা স্পষ্ট না হওয়ায়, নিয়োগ পাননি। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৪২,৯৪৯ চাকরি প্রাপকের সুস্পষ্ট প্যানেল আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে পর্ষদের তরফে জানানো হয় প্যানেল আগেই আদলতের নির্দেশ অনুযায়ী জমা করা হয়েছে। এরপর বিচারপতি প্যানেলের হার্ড অ্যান্ড সফট কপি জমা করার নির্দেশ দেন। সেই প্যানেলের মধ্যে যেন টেট তথা Primary TET উত্তীর্ণদের সম্পর্কে ‘বিস্তারিত তথ্য’ (নাম, জেলা, স্পষ্ট ভাবে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের উল্লেখ-সহ) যেন উল্লেখ থাকে।
২০১৪ সালে হওয়া Primary TET তথা টেটের প্যানেল প্রকাশ করার পর ২০১৭ সালে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছিল। কিন্ত এই নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে। জানা যায় প্যানেল প্রকাশ না করেই অনেক অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হয়েছ।
সেইজন্য যাদের নাম নেই এমন কয়েকজন মিলে মামলা দায়ের করেন পর্ষদের বিপক্ষে। পর্ষদকে সিঙ্গেল বেঞ্চ রায় দিলে সেই রায়কে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলো পর্ষদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Primary TET তথা প্রাথমিক টেট ২০১৪’র ভিত্তিতে ২০১৭ সালে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ করেছিল পর্ষদ।
সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূরিভূরি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আদালতে একাধিক মামলা রুজু হয়। তেমনই একটি মামলায় অভিযোগ ছিল, প্যানেল প্রকাশ না করেই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বদলি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চ গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন আগের Primary TET তথা প্রাথমিক টেটের প্যানেল যে ৯ হাজার ৫৩৩ জন চাকরি পেয়েছিলেন সেটা বাদ দিয়ে নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে। আগের তালিকাকে স্পর্শ করা যাবেনা।
আদালতের ছাড়পত্র মেলার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করে। এরপরেই মামলা দায়ের করেছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই আবেদনে সম্মতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জানালেন, এই প্রার্থীদের জন্য আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিলো স্কুল শিক্ষা দফতর।
তবে মূল তালিকাকে স্পর্শ করা যাবে না। ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্যানেলের সঙ্গে এই প্রার্থীদের তুলনা করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি। এরপরই পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। আবারও এই মামলার শুনানি খুব দ্রুত হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে শিক্ষক নিয়োগ বা Primary TET নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। আদৌ কি সঠিক নিয়োগ হবে সেটা নিয়ে উদগ্রীব টেট চাকরিপ্রার্থীরা।