TET Exam – বদলে গেল টেট পরীক্ষার নিয়ম, শিক্ষক হতে চাইলে দেখুন।
নতুন নিয়মে চাকরিতে নিয়োগ, বদল আসছে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায়, কি কি পরিবর্তন, জেনে নিন।
আর আগের মত নয়। এবার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET Exam) আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক স্কোরের (Academic Score) ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার বিষয়টিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে কমিশন।
West Bengal TET Exam Syllabus:
ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET Exam) পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যেমন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র রাখা, ইন্টারভিউ এবং কাউন্সেলিং প্রসেস ফিরিয়ে আনা। আর এবার নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কমিশনের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে, তা হল নেগেটিভ মার্কিং (Negative Marking) তার অর্থ যদি কোনো পরীক্ষার্থী কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল দেয়, তাহলে তার নম্বর কাটা যাবে অর্থাৎ নেগেটিভ মার্কিং করা হবে।
Syllabus for TET Exam
এর স্বপক্ষে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যই এই নেগেটিভ মার্কিং এর বিষয়টি থাকা প্রয়োজন। এর ফলে উপযুক্ত প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে উত্তর দেওয়ার মতো বিষয়টি থাকলে তা কখনোই ঠিক নয়। সেই কারণেই এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে নেগেটিভ মার্কিং এর উপরে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
West Bengal TET
তবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়টিতে অনুমোদন দিলে তবেই পরবর্তীতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Teachers Recruitment Process) এই নেগেটিভ মার্কিং এর নিয়মটি চালু হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, নেগেটিভ মার্কিং এর সম্পূর্ণ পক্ষপাতী আমি। এই প্রক্রিয়া থাকলে যোগ্য প্রার্থীরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। নেগেটিভ মার্কিং এর মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীরা চাকরিতে নিয়োগ পাবেন। আর এর মাধ্যমে সঠিকভাবে বিচার করা সম্ভব।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো শিক্ষকদের জেলাভিত্তিক তালিকা, 32000 এর মধ্যে কত জন আসল নকল।
যেহেতু বর্তমানে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Exam Scam) নিয়েই তোলপাড় চলছে। তাই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশন এবং সরকারের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে পুরোপুরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। যেন কোনো অভিযোগ না ওঠে। আর সেই কারণেই এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বেশ কিছু প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। যে প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
রাজ্য সরকার সেই TET Exam এর প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে তবেই এর পর থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই নেগেটিভ মার্কিং সহ নতুন নিয়ম চালু হয়ে যাবে। মাদ্রাসা বোর্ডের তরফে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই নেগেটিভ মার্কিং এর নিয়ম চালু করতে পারে বলেই বিধিতে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাকাডেমিক স্কোরের ভিত্তিতে দেওয়া নম্বরের প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে মেধার ভিত্তিতে বিচার করা যায় সেই কারণেই এই নেগেটিভ মার্কিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার নতুন কি কি পরিবর্তনের প্রস্তাব করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) একবার দেখা যাক।
আরও পড়ুন, প্রাইমারি টেট মামলা নিয়ে নতুন ঝামেলা, সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায় কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ।
২০১৭ সালের নোটিফিকেশন অনুযায়ী রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছিল, সেই অনুযায়ী এবার এসএসসিও প্রশ্নপত্রের মডেল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড (TET Exam Model Answer Paper Upload) করবে।
যদি কোনো পরীক্ষার্থীর সেই মডেল উত্তরপত্র নিয়ে কোনো সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইন বা অফলাইনে ভিজিট করে অভিযোগ কমিশনকে জানাতে হবে।
পরীক্ষার্থীর দেওয়া সেই উত্তরপত্রের সঙ্গে মডেল উত্তরপত্র মিলিয়ে দেখা হবে। যদি সেখানে কোনো ভুল বা ভ্রান্তি ধরা পড়ে তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপরে সেই উত্তরপত্র ফের আপলোড করা হবে।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুটি ধাপে প্রিলিমিনারি (TET Exam Preliminary) এবং বিষয়ভিত্তিক (Subject Wise TET Exam) পরীক্ষা নেওয়া হবে।
একাডেমিক নম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে।
OMR Sheet এবং Multiple Questions- এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
কার্বন কপি ব্যবহার করা যাবে। পরীক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে কার্বন কপির ডুপ্লিকেট উত্তর পত্রের কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।
২০২০ সালের আগে এসএসসিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ফিরছে। ইন্টারভিউতে ১০ নম্বর থাকবে।
নেগেটিভ মার্কিং (Negative Marking) থাকছে।
প্রাইমারি টেট মামলা নিয়ে নতুন ঝামেলা, সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায় কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ।
উত্তরপত্রের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
সমস্ত প্রক্রিয়া হয়ে যাওয়ার পর প্যানেলে নাম উঠলে কাউন্সেলিং এ স্কুল বাছাইয়ের সুযোগ থাকছে।
২০২৪ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন নিয়ম আনতে চলেছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো অ্যাকাডেমিক স্কোর তুলে দেওয়া এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনা। নবম- দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং বিএড এর প্রশিক্ষণের নম্বর দিয়ে মেরিট লিস্ট (Meritt List) করা হতো এতদিন।
এবার থেকে সেই নিয়ম আর থাকছে না। এর কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন আগের পরীক্ষার নম্বর এর যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আর সেই কারণেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এবার এসএসসির এই প্রস্তাব শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর পরে তা অনুমোদিত হলে তবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই নতুন নিয়ম চালু হয়ে যাবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাহাদুর চেযার ম্যান কে জিজ্ঞেস করছি-1)’সাদা খাতা জমা নিয়ে কমিশনের কাঁচের এসি ঘরে বসে রাতের অন্ধকারে চোরের মত নম্বর বাড়িয়ে অপদার্থদের চাকুরি পাইয়ে দেওয়া বন্ধ করতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
2)কমিশনের চেযার ম্যান হোয়ার জন্য আপনাদের কোন পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে যাতে নেগেটিভ মার্কিং আছে?
3)চেয়ারে বসে চুরির মত অপকর্ম গুলো করতে হাত কাঁপে না,পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং চালু করে যোগ্য চাকুরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করতে লজ্জা লাগল না?
4)সাদা খাতায় চাকুরি বহাল রাখতে ও ঘুষ খাওয়ার রাস্থার মসৃনতা বজায় রাখতেই টেটে নেগেটিভ চালু করতে হবে?
5)সিপিএম সরকারের আমলে তৈরি হোয়া এই এস এস সি কমিশন।তখন তো স্মুথলি শিক্ষক নিয়োগ হত। কোন সমস্যা তো হয়নি।আজ চোর মমতা সরকারের আমলে আমলা গুলোই সবথেকে বড় চোরে পরিণত নযকি ?
Er sathe omr sheet er carbon copy thaka joruri karon eta je hare jaliati kore kauke fail koranor jonno omr sheet e negative marking kore diteo pare carbon copy porikharthir kache thakle seta parbena