WB Teachers Salary

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য বিরাট খুশির খবর। কারণ অনেকদিন পর বেতন বাড়ছে তাঁদের (WB Teachers Salary)। রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ঠিক কত টাকা বেতন বাড়ছে তাঁদের (WB Teachers Salary)? কবে থেকে বাড়ছে বেতন (WB Teacher Salary)। সমস্ত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে। শিক্ষক শিক্ষিকারা অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ে নিন।

WB Teacher: রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন বাড়ল!

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে মোড়ে মোড়ে লুকিয়ে দুর্নীতি। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার তালিকায় মাঝেমধ্যেই নিত্যনতুন নাম পাওয়া যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া বাংলায় কার্যত আকাশকুসুম ভাবনার জায়গা নিয়েছে। তাই এইসবের মাঝে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির খবর, চারিদিকে তোলপাড় করে দিচ্ছে (WB Teacher Salary)।

পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব এতটাই গাঢ় যে, চাকুরিরতদের মধ্যেও অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত চাকরি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নতুন করে বেতন বৃদ্ধির আশা করে থাকেনি। তা সত্ত্বেও ‌ঠিক যেন মেঘ না চাইতে জলের মত হাইকোর্টের তরফে ঘোষণা করা হলো, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে (WB Teacher Salary)।

কবে থেকে বেতন বাড়ছে? আর কত টাকা বেতন বাড়ছে সবটাই এখন প্রশ্নের খাতায়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সকলেই কমবেশি ভাবছেন (WB Teacher Salary)। গত দুই বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতির এক একটা পর্দা ফাঁস হচ্ছে। ‌যার কারনে চাকরি বাতিল হয়েছে বহু প্রার্থীর। ‌বেনিয়মের চাকরি ছেয়ে গিয়েছে বাংলায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনো তো অনেক পর্দা ফাঁস বাকি।

দিনের পর দিন রাস্তায় ধরনায় বসেছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এখনো জানেন না কবে মিলবে বিচার। এদিকে বেআইনি চাকরি বাতিলের পর বাংলার বহু স্কুল বর্তমানে শিক্ষক হাহাকারে ধুঁকছে। এই পরিস্থিতির প্রতিকার কি? জানা নেই কারোর। এদিকে কর্তব্যরত শিক্ষকরা ডিএ না পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বেতন বৃদ্ধির এই সুখবর তাঁদের সবার মুখে হাসি ফোটাবে।

রাজ্যে চালু হচ্ছে দুয়ারে শিল্প শিবির। কি কি সুবিধা পাবেন? মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে খুশি সবাই

রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ!

সম্প্রতি শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত এক মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বড়সড় এক নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই নির্দেশের বেড়ে চাপে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। এক মামলায় এসেছে এই নির্দেশ। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দেয়।

শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষে ছিল আদালত। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে সেখানেও সুরাহা হল না। এবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হবে। আর সেই নির্দেশ এবার মানতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে

নিয়ম না মানায় কঠোর শাস্তি! পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পের ফান্ড পাঠানো বন্ধ করলো কেন্দ্র! তালিকায় রয়েছে আরও তিন রাজ্য

কতটা বেতন বাড়লো শিক্ষকদের?

সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, স্থায়ী শিক্ষকদের যে ন্যূনতম বেসিক পে প্রদান করা হয়, সেটা এবার থেকে দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদেরও। ২০০২-২০০৩ সাল নাগাদ চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ শুরু হয়েছিল এই সমস্ত শিক্ষকদের। কিন্তু ২০১০ সালে রাজ্যের তরফে এই শিক্ষকদের জানানো হয় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদেরও কাজ করতে হবে স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই।

আসলে, একই কাজ করতে হলেও স্থায়ী শিক্ষকদের সাথে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন পার্থক্য ছিল বিস্তর। কাজ বাড়লেও তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করেনি রাজ্য সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে স্থায়ী শিক্ষকদের মতো বেসিক পে দেওয়ার দাবি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা।

এর আগে এই মামলায় তাঁদের দাবিতে দুবার শীলমোহর দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু রাজ্য হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু শিক্ষকদের আশাহত করল না ভারতের শীর্ষ আদালত। বরং শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে বেতন বৃদ্ধির পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। চার মাস পর শুনানি হওয়ার কথা হলেও, সে শুনানি এখনো পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। ডিএ মামলার গতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।

কিন্তু শীর্ষ আদালতে কবে এই মামলার গতি হবে, কবে তাঁরা যোগ্য বিচার পাবেন, সেই প্রশ্নের এখনো সঠিক উত্তর মেলেনি। তবুও সরকারি কর্মীরা আশা ছাড়ছেন না। দেখা যাক আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা খুশি। পুজোর আগে তাঁরা উপহার পেলেন বলে মনে করছেন।