IMG 20240601 WA0005

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি বা SSC Recruitment Scam মামলায় ২০১৬ সালের টেট পাস করা ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যায়। জানা যায় ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অপরাধে সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল টাকে বাতিল করে দিয়েছিলেন। তার কারণ এসএসসি কর্তৃপক্ষ যোগ্য এবং অযোগ্য কারা সেই ব্যাপারে তখন কোন সুস্পষ্ট তালিকা দিতে পারেননি।

WB SSC Recruitment Scam Teaches are Pressure as Open School

এর পরেই যোগ্যভাবে চাকরি পেয়েছিলেন যারা তারা আন্দোলন শুরু করেন এবং শীর্ষ কোটে মামলা দায়ের করেন। এর পরেই শীর্ষ কোট এসএসসি কর্তৃপক্ষকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন। এবং আপাতত এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের স্থগিতাদেশ দিয়ে দেন। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৬ই জুলাই।

এই ১৬ই জুলাই পর্যন্ত এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক শিক্ষকতা করতে পারবেন এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। তবে ১৬ই জুলাই এসএসসি কর্তৃপক্ষকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের চূড়ান্ত তালিকা শীর্ষ কোর্টে জমা দিতে হবে। এই মামলা চলাকালীন স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছিল (SSC Recruitment Scam).

গরমে ছুটি শেষ করে স্কুল খুলছে ৩ জুন। যে সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের কথা উঠেছিল তারা আবার পুনরায় স্কুলে জয়েন করতে পারবেন কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসি কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় সমস্ত শিক্ষকদের একটি মুচলেকা দিয়েই তবে স্কুলে জয়েন করতে হবে (SSC Recruitment Scam).

কিন্তু মুচলেকা কি লিখতে হবে, কাদের হাতে এই মুচলেকা দিতে হবে সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। তাই এই বিষয়ে এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন (SSC Recruitment Scam).

প্রসঙ্গত এই রায়ের ১৮ নম্বর পাতায় এই মুচলেকা দেওয়ার বিষয়টি বলা হয়েছিল এবং সেই ভাবেই এসএসসি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন এই মুচলেকার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়নি এই মুচলেকা কাদেরকে দিতে হবে তাই এই বিষয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা (SSC Recruitment Scam).

এদিকে ৩ জুন প্রায় এসেই গেলো, রাজ্যের স্কুলগুলো গরমের ছুটির পরে পুনরায় খুলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা আধিকারিকদের বক্তব্য শিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ এখনো পাননি তারা, নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আদালতের কথা মতই তারা কাজ করবেন। বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক জানান শিক্ষা দপ্তরের আইন বিভাগ এই পদক্ষেপটি নিয়েছেন।

তারা এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট বার্তা দেননি। আশা করা যায় খুব দ্রুত তারা এই বিষয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এবং দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান হবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে বলা হয়েছে ১৬ই জুলাই শুনানি পর্যন্ত এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন এবং তাদের কোনরকম বেতন কাটা যাবে না (SSC Recruitment Scam).

রাজ্যে শুধুমাত্র HS পাশ যোগ্যতায় 13 হাজার শূন্যপদে ICDS Supervisor নিয়োগ করা হবে। এখনই আবেদন করুন

কিন্তু ১৬ই জুলাইয়ের পর যারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের কাছ থেকে পদত্যাগ দিতে হবে এবং সেই সাথে কর্মজীবনের সমস্ত বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই মুচলেকা দিতে রাজি হবেন কিনা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা সে ব্যাপারে একটা সন্দেহ রয়েছে।

IMG 20240529 WA0006

কারণ বর্তমান সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের মুচলেকা দেওয়া ব্যাপারই অপমানজনক একটি অবস্থা। তবে গরমের ছুটির পর কাজে যোগ দেওয়ার জন্য এই মুচলেকা দিতেই হবে এমনটাই নির্দেশ যেহেতু রয়েছে তাই যারা যোগ্য ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের কাছে এটা অপমানকর।

সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি ও পদোন্নতি নিয়ে কর্মীদের বিপক্ষে রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

আর যারা অযোগ্য ভাবে চাকরি পেয়েছেন তারা মুচলেকা দিলেও তারা জানে তাদের চাকরি একদিন চলেই যাবে তাই তারা মুচলেকা দিতে চাইবে না এটাই মনে করা হচ্ছে। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা নিজের থেকে এই মুচলেকা চাইবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তর থেকে কোন নির্দেশ আসছে।

বলাই যায় প্রধান শিক্ষকরা এই মুচলেকা নিয়ে একটি অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত সঠিক নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রধান শিক্ষকরা অপেক্ষা করছেন শিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে একটি সম্পূর্ণ নির্দেশের তার পরেই তারা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করবেন।