পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে গরমের ছুটিতে বাড়িতে বসে করতে হবে এই কাজ, শিক্ষক ছাত্রদের নির্দেশ দিল শিক্ষা দপ্তর।
গরমের ছুটিতে পড়ুয়াদের কাজের লিস্ট দিল শিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই চল্লিশের আশেপাশে ঘোরা ফেরা করছে। আর কিছু দিন পরেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে দেওয়া হবে গরমের ছুটি। ছুটিতে পড়ুয়াদের কী কী কাজ করতে হবে, সেই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।
পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য আলাদা আলাদা কাজের কথা ঘোষণা করেছে। এই কাজ গুলি করলে পড়ুয়াদের প্রকৃতির সাথে আরও বেশি সখ্যতা তৈরী হবে। বাড়বে আত্মবিশ্বাসও। গরমের ছুটি শেষ হলে পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে জমা করতে হবে সেই কাজের রিপোর্ট। এর ফলে জানা যাবে, কাজগুলি পড়ুয়ারা কতটা সঠিকভাবে করতে পেরেছে বা আদৌ করেছে কিনা। এই কাজগুলির মূল্যায়ণের উপর বন্টন করা হবে কিছু নম্বরও।
শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রকৃতি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ দেওয়া হবে। এখানে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তা নিয়ে নিজেদের মতো করে গবেষণা করতে হবে পড়ুয়াদের। এর পরে সেই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে খাতায় লিখবে। এক্ষেত্রে পুরো কাজটি শেষ করার জন্য পড়ুয়াদের ৫ থেকে ৭ দিন সময় দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, গরমের ছুটির মধ্যে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের কোনও বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দূরত্ব স্কুলের থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যা শিখবে, তার উপর নির্ভর করেই রিপোর্ট বানাতে হবে পড়ুয়াদের।
শিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছে, গরমের ছুটির মধ্যে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার, কলেজ কিম্বা কোনো হস্তশিল্পকেন্দ্রে গিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন কাজের প্রকৃতি, ধরণ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে রিপোর্ট বানাতে হবে।
একই রকম ভাবে, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরকেও কোনও কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং তার উপর রিপোর্ট বানাতে হবে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি জেলার ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটরাও এই বিষয়ে পড়ুয়াদের উপর নজর রাখবেন এবং প্রয়োজনে সহায়তাও করবেন।
🙏🙋♂️