Primary TET Scam – 32000 শিক্ষকের চাকরি বাতিল, মামলা গেল সুপ্রীম কোর্টে।

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে বা Primary TET Scam কে কেন্দ্র করে আদালতের তরফে একের পর এক নির্দেশ। লাইন দিয়ে চাকরি বাতিলের রায়। তারপরেই উচ্চ আদালতে বা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ। এরপরেই আবার ফের নতুন মামলা দায়ের। মোটের উপর এই টেট নিয়োগ মামলার অধ্যায় মোটে শেষ হচ্ছে না। একের পর এক অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আর এবার এই মামলা গড়ালো শেষের সর্বোচ্চ আদালতে।

West Bengal Primary TET Scam:

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Teachers Recruitment Scam) একের পর এক মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দায়ের হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। এরপরেই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করলে সেখানে এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেওয়া হয়।

রায়ের উপর বা চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সহ (Interview Process) অন্যান্য পূর্বের নির্দেশ প্রায় একই রাখা হয়। এবার জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে একটা বৃহৎ অংশ নতুন করে এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চান না। আর সেই কারণেই এ বি পি টি এ (ABPTA) আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা WBBPE উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আর এর মধ্যেই Primary TET Scam মামলা গড়ালো সুপ্রীম কোর্টে!

গরমের ছুটির পর সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষক সংগঠনের তরফে পিটিশনারদের সঙ্গে নিয়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে। ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ প্রসঙ্গেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সুপ্রিম কোর্টে আরো একটি মামলা নতুন করে দায়ের হতে চলেছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেদের চাকরি বহাল রাখার জন্য উজ্জয়িনী সাতরা সহ অন্যান্যরা এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা (Primary TET Scam) দায়ের করতে চলেছেন।

আরও পড়ুন, প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউ এর বিজ্ঞপ্তি, কপাল খুলছে হবু শিক্ষকদের।

এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী পার্থসারথি দেব বর্মন জানান, প্রশিক্ষণহীন হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মতো তারা যোগ্যই নন। ২০১৭ সাল থেকে আমার মক্কেলরা শিক্ষকতার চাকরি করছেন। অথচ এই কারণে তারা যোগ্য নন। তাই তাদের একটা বৃহৎ অংশ মামলা করে নিজেদের নিয়োগ দাবি করছেন। ফলে চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলা (Primary TET Scam) দায়ের হতে চলেছে।

আরও পড়ুন, কোটি কোটি স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের জরুরী নির্দেশ দিলো ব্যাংক কতৃপক্ষ, না মানলে বিপদে পড়বেন।

TET 2014 সম্পর্কে তথ্য

তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন, টেট ২০১৪ সালের টেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে অপ্রশিক্ষিত রা পরীক্ষায় বসার জোগ্য ছিলেন। এবং NCTE ২০১৯ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে প্রশিক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলো। সিক্ষকতায় টেট বাধ্যতামূলক হয় তার অনেক পরে। সুতরাং প্রশিক্ষিতরা অযোগ্য তা একপ্রকার না জেনেই মন্তব্য করছেন মামলাকারীদের একাংশ। তাছাড়া ২০১৪ সালের CTET পরীক্ষায় ও প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল না। এছাড়া অনেক রাজ্যের টেট পরীক্ষায় ও তখন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিলো না। যারা অপ্রশিক্ষিত ছিলো তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়েছেন।

সুতরাং আদালত চাকরি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে। আর যদি ইন্টারভিউ হয়, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্যই নির্দেশিকা প্রকাশ করবে। আর যেখানে সরকার বা পর্ষদ চাকরি প্রার্থীদের পক্ষেই রয়েছে, সেক্ষেত্রে নতুন করে মামলা দায়ের করার কোনও মানে হয়না। আপনার মন্তব্য নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Related Articles

4 Comments

  1. 2017 থেকে চাকরি নেই, পরীক্ষা নেই, সেদিকে কারো হুস নেই। চাকরি করা দের আব্র বাতিল আবার বহাল এই করতে করতে ২০২৩ ও পার হয়ে যাবে। আসলে কিছুই না সব নাটক। নতুন দের নিয়োগ করবে না পূরণ গুলোকে নিয়েই নাটক করতে করতে নতুন দের বয়স শেষ হওয়া যাবে এই হলো সরকারের বুদ্ধি। যদি ধরি ও j চাকরি যারা করছে তারা ভুল পন্থা অবলম্বন করে চাকরি পেয়েছে, কিন্তু তাতে নতুন দের কি?? কেস হবে শুনানি হবে আবার কেস হবে তাতে নতুন যারা ক্যান্ডিডেট আছে তাদের কি? আমরা প্রতি বছর নিয়োগ চাই। আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে একটা চাকরি পেতে চাই ব্যাস।

  2. পদোন্নতি ছাড়া এক ই চাকরির জন্য কেনো আমরা বারবার ইন্টারভিউ দেবো! আমাদের তো সব ডকুমেন্টস রয়েছে, আমিই মাধ্যমিকে ৮৫% আর উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০% নম্বর পেয়েছিলাম গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স সবেতেই ফার্স্ট ক্লাস; আমাদের ব্যাচের বেশীরভাগ ছেলেমেয়েদের ই উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আমরা রিটেন ক্র্যাক করে, বারাসাত গান্ধীতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সহ ইন্টারভিউ দিয়ে দুটোতে ২+২ পেয়ে পাশ করেছি হায়ার অ্যাকাডেমিক্স থাকা সত্ত্বেও তাহলে আমার চাকরি, আমাদের একরকম অনেকের চাকরি কেনো যাবে! চাকরি করার সাত বছর পর এক ই পদের জন্য ইন্টারভিউ কেনো দেবো! মানহানি তো আমাদের ই করা হচ্ছে! যেখানে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাউকে ডেকে উনি ওনার প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন চালাননি! তাহলে অন্য কয়েকটি জেলার জন্য সকলের ৩২০০০ একসঙ্গে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে হবে! আগে সকলের ডকুমেন্টস তো চেক করুক মাননীয় তুঘলকি রায় দিয়ে দিয়ে এতোগুলো ছেলেমেয়ের মান-সম্মান সব বলি দিয়ে দিলেন!!!!

  3. যারা চাকরি করছে তাদের বেশির ভাগই সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। অনেক চাকরি পাওয়া ছেলে মেয়ে বাংলা বানান পর্যন্ত জানে না এদিকে যারা প্রকৃত অর্থে পাশ করে ধর্নায় আছে তাদের প্রতি কারো হুঁশ নেই। 32000 এর মধ্যে সবাই কে বাদ দিয়ে যারা ধর্নায় আছে তাদের আগে নেওয়া হোক। পরে বাতিল দের সঠিক ভাবে ইন্টারভিউ নিয়ে যারা পাশ করে বের হয়ে যাবে তাদের জয়েন্ট করতে পারে।

  4. আরে ভাই! ছিচকে চোরের জন্য একটু আধটু সহানুভূতি মানুষের হয়। কিন্তু সরকারী চাকরী লুটেরা দের জন্য কেউ কাঁদে না। তারই কাঁদে, যারা ঘুষ দিয়ে পেয়েছে । ২০০৯ সালের পর থেকে পশ্চিবঙ্গের মানুষের বদ্ধমূল ধারনাই তৈরি হয়ে গিয়েছে – qualification যাই থাক, টাকা ছাড়া একটিও চাকরী এ রাজ্যে হয় না। আর ঘুষ দেওয়া চাকরী প্রার্থীরা জেনেই গেছে- ‘একবার চাকরিতে ঢুকে পড়লে – কেউ আমার ঘুষের চাকরী ধরতেই পারবে না। কারণ , নিখুঁত কারিকুরীতে প্রমাণ লোপাট করে চাকরী চুরি করে পেয়ে গেছি! আদালত আমার ঘণ্টা করবে।’ কিন্তু শুভ বুদ্ধির মানুষ মাত্রই জানে – সভ্য দেশে আইন আইনের পথে চলবে। অন্যায়ের সাথে যুক্তরা একদিন শাস্তি পাবেই, দেরী হলেও পাবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button