পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ড সহ বাতিল কোটি কোটি অন্যান্য ভুয়ো কার্ড! বৈঠকে মুখ্যসচিব। একাজ করলেই…

বিগত সময়ে রাজ্যে দেখা মিলেছে বহু ভুয়ো কার্ড! রাজ্য সরকারের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। সরকারি প্রকল্প এর মাধ্যমে সরকারি সুবিধা পৌঁছে যায় রাজ্যবাসীর দুয়ারে। তবে এই কাজে দেখা মিলেছে বহু অসঙ্গতি। প্রচুর কার্ডের দেখা মিলেছে যা অসৎ উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। সুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভুয়ো কার্ড তথা Fake Cards এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিরাট আর্থিক ক্ষতির স্বীকার।

রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। যদিও সারা বছর ধরেই রাজ্য সরকারি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের ওপরে বিশেষ নজরদারি চালায় রাজ্য সরকার। দেশে ডিজিটাল দুনিয়ার বিশেষ অগ্রগতির প্রমাণ পাওয়া যায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখে। কেন্দ্রের উদ্যোগে সারা দেশ জুড়ে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে আধারের মতো বিরাট প্রোজেক্ট।

কোটি কোটি মানুষের কাছে দেশের তথা রাজ্যের সমস্ত রকম পরিষেবা দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে পৌঁছে দিতে এই কার্ডের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এর ফলে মানুষের যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনই সরকারও খুঁজে নিচ্ছে দেশের অসাধু চক্রকে। সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত রকমের সরকারি কাজ তথা Govt. Scheme এর ক্ষেত্রে গতি আনতে সরকার আধার কার্ডের সহযোগিতা নিচ্ছে।

প্রথম দিকে অবশ্য রাজ্য তথা WB Govt. এই আধার কার্ডের বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে নি। তবে বর্তমানে এর ব্যবহারের ফলে রাজ্যে খোঁজ মিলেছে বহু Fake Cards. এই সকল Fake Cards বাতিল করার জন্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণে পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজ্য সরকারি প্রকল্প তথা WB Govt. Scheme হিসেবে রুপশ্রি, কন্যাশ্রি, খাদ্যসাথি সহ প্রায় 20 টি প্রকল্পে সরকার এই আধারের মাধ্যমেই নজরদারি চালাচ্ছে।

ভুয়ো কার্ড থাকার ফলে রাজ্য সরকার তথা WB Govt. এর বিশেষ আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। রাজ্যে বাতিল হয়েছে প্রায় দেড় কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড (Ration Card). এর ফলে খরচের কোন হিসেব থাকে না। তাই এবারে রাজ্য সরকার আধার সিডিং এর মতো বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভুয়ো কার্ড এর খোঁজ পেতে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই রাজ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

রাজ্যে চলছে প্রায় 20 টি দপ্তরে 133 টি DBTS অর্থাৎ ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার স্কিম। এর মাধমে সরকারি টাকা সরাসরি পৌঁছে যায় রাজ্যবাসীদের ব্যাংক একাউন্টে। আর এক্ষেত্রে ভুয়ো কার্ড থাকায় রাজ্য সরকার বেশ ক্ষুব্ধ। এবারে এই সকল দপ্তরের জাচাইকরণ করা হবে আধার সিডিং এর মাধ্যমে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিশেষ ঘোষণা মমতার। তবে একাজ না করলে পাবেন না বাড়তি টাকা!

প্রথমে অবশ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের এই আধার সিডিং তথা AADHAAR Seeding পদ্ধতি ব্যবহারে ততটা আগ্রহি ছিল না। তবে এখন Fake Cards এতো বেড়ে গিয়েছে যে রাজ্যের এই পথে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। ভুয়ো কার্ডের মাধ্যমে সরকারি অপচয় ঠেকাতে রাজ্যের এই বিশেষ পদক্ষেপ। তবে এতো বড় পদক্ষেপ কিভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব?

এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য বিভিন্ন দপ্তরে Fake Cards ধরতে নোডাল এজেন্সির কাজ করবে কর্মীবর্গ দপ্তর। করা হবে দপ্তরওয়ারি চুক্তি। আবার অনেক গুলি দপ্তরের ভুয়ো কার্ড ধরার কাজে সাহায্য নেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের NIC তথা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স দপ্তরের। অর্থাৎ, এটা পরিষ্কার যে, রাজ্যে এখনো বহু ভুয়ো কার্ড এর সন্ধান পাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।

রাজ্যের সমস্ত মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সুযোগ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কিভাবে আবেদন করবেন?

তাই ভুয়ো কার্ড ধরতেই এই “সকলের জন্য আধার সিডিং” – এর বিরাট পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি রাজস্বের অর্থ যাতে ভুয়ো কার্ড এর পেছনে চলে না যায়, সেদিকে সতর্ক থাকার নিদান দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button