রাজ্যে সরকারি ছুটি তো বাতিল হলোই, সাথে বিরাট দায়িত্ব স্কুলে স্কুলে। কিছু হলে দায় নেবে কে? বিশদে………
রবিবার সরকারি ছুটি হলেই স্কুলে যেতে হচ্ছে মিটিং করতে।
সবে সরকারি ছুটি হিসেবে পুজাবকাশ শেষ হয়েছে স্কুল গুলিতে। তবে রাজ্যের স্কুলে সরকারি ছুটি শেষ হতেই দেওয়া হচ্ছে নতুন দায়িত্ব। বছরের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল 2 মাস পর থেকে। আবার গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘাটতি হয়েছিল পড়াশোনাতে। তবে এবারে এই নতুন কর্মসূচীতে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে বেশ চিন্তিত অভিভাবক থেকে শিক্ষক মহলের একাংশ। আসুন, বিস্তারিত আলোচনায় দেখে নেওয়া যাক।
মহামারীর কারণে স্কুলে গত 2 বছরের সরকারি ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীদের অফলাইন পড়াশোনায় গতিরুদ্ধ ছিল। তবে রাজ্য সরকারের অসীম প্রচেষ্টায় পড়াশোনায় বেশ গতি রাখার নিরন্তর চেষ্টা চলেছিল অনলাইনে। এবারের শিক্ষাবর্ষে হাতে আর বেশি দিন বাকি নেই। এর মধ্যেই রাজ্যের স্কুলে স্কুলে সরকারি ছুটির পরেই কিচেন গার্ডেন নিয়ে নতুন প্রোজেক্ট চালু হতে যাচ্ছে। স্কুলে পরিমিত জায়গা থাকলেই করতে হবে কিচেন গার্ডেন। কিন্তু দায়িত্বে কারা?
সম্প্রতি ব্লকে ব্লকে হচ্ছে প্রশাসনের সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক এবং মিড-ডে-মিল এর রাঁধুনিদের মিটিং। রবিবারে থাকে সরকারি ছুটি। তবে ঐ দিনগুলিতেই মিটিং করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যে সকল বিস্যালয়ে কিচেন গার্ডেন করা হবে, সেখানে প্রধান দায়িত্বে থাকবেন প্রধান শিক্ষক। তাকে সহযোগিতা করবেন একজন নোডাল টিচার। আর স্কুলের রাঁধুনিদের নিতে হবে সারা বছরের দায়িত্ব। গার্ডেন পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি করতে হবে তাদেরই। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও এক্ষেত্রে নিযুক্ত থাকতে হবে।
এই বিষয়ে রাজ্যের অনেক ব্লকেই রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনে এই বিষয়ে ট্রেনিং, মিটিং চলছে। কারণ, সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যান্য দিনে এই প্রোগ্রাম করলে স্কুলের মিড-ডে-মিল প্রকল্পে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই রাঁধুনিদের এই ছুটি উপভোগ করা হচ্ছে না। বৃহত্তর স্বার্থে তাদের এই পদক্ষেপ বেশ গুরুত্ব পাবে সমাজে আর বিশেষজ্ঞ মহলে।
বকেয়া ডিএ এর দাবিতে নতুন পদক্ষেপ নিল WB Govt Employee রা, কতটা চাপের মুখে সরকার?
কিচেন গার্ডেন হলে পড়ুয়াদের কতটা সুবিধা হবে?
১. পড়ুয়াদের মোটর দক্ষতা এবং জ্ঞান বিকাশ।
২. টিম স্পিরিট এবং সাহচর্য বৃদ্ধি করে।
৩. স্বাস্থ্যকর এবং পরিষ্কার খাওয়া দাওয়াকে উৎসাহিত করে।
৪. একটি ইতিবাচক, কঠোর পরিশ্রমী মনোভাব তৈরি করে।
৫. যৌক্তিকতা এবং বৈজ্ঞানিক মানসিকতা তৈরি করে।
৬. আত্মসম্মান ও শ্রমের মর্যাদা অনুপ্রাণিত করে।
৭. মনোযোগীতা বৃদ্ধি করে।
৮. পড়ুয়াদের নতুন করে ভাবতে শেখায়।
৯. অন্তর্নিহিত কৌতূহলকে তীক্ষ্ণ করে এবং চ্যানেলাইজ করে।
১০. গ্রহ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সখ্যতা তৈরি করে।
১১. ভালবাসা, সমবেদনা, ভাগ করে নেওয়া, সম্প্রীতি, দায়িত্ব এবং আন্তরিকতার মত মূল্যবোধকে প্রচার করে।
১২. সুবিধাজনকতা, অলসতা, তাড়াহুড়া এবং অসংবেদনশীলতা নিরুৎসাহিত করে।
এই বিষয়ে বিদ্যালয় গুলিতে 10/15 বর্গফুটের জমি বা বেড বানাতে হবে। পরবর্তীতে এর থেকে আরও বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে সেলফ হেল্প গ্রুপ থেকে ব্লক লোক দেবে, যারা এই কাজ গুলি শুরু করে দেবে। পরে স্কুলের অন্যান্যদের তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই হবে এই বিষয়টি, এমন মতামত পোষণ করছেন একাংশ। এমন আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.