ডিএ দেওয়া নিয়ে 2 টি পদ্ধতি উল্লেখ মন্ত্রীর – কিস্তি এবং PF. তা সত্ত্বেও কর্মবিরতি পশ্চিমবঙ্গে। বিস্তারিত দেখুন।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে 2016 সাল থেকে। কর্মীদের জয় মিলেছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে। ডিএ তাদের মৌলিক অধিকার, একথা স্বীকৃতি পেয়েছে কোলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিদের রায়ে। কিন্তু এই মৌলিক অধিকার কি আদৌ পাবেন সরকারি কর্মীরা? বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীদের বর্তমান ডিএ মাত্র 3 শতাংশ।
কোলকাতা শহীদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীরা শুরু করেছেন লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ। নিজের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরা হোক বা হোক নিজের কোন দাবি আদায়ের আন্দোলন, নিজের দাবি তুলে ধরা প্রত্যেক জনগণের মৌলিক অধিকার। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা তাদের দাবি জানাতে চান মাননীয় সরকারের কাছে। এই উদ্দেশ্যেই সরকারি কর্মীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ।
সরকারি কর্মীদের সব মিলিয়ে 28 টি সংগঠনের একত্রীকরণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সাথে যুক্ত আছেন ডাক্তার, নার্স, উকিল, পৌরসভা, পঞ্চায়েত, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সংগঠন, শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য আরো রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন। উক্ত সংগঠনের সাথে যুক্ত আছে UUPTWA নামক সংগঠন যারা উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ আন্দোলনরত কোলকাতা শহীদ মিনার চত্বর থেকেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতৃত্ত্ব শ্রী ভাস্কর ঘোষ মহাশয় তার বক্তব্যে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, আজ তারা সরকারের কাছে নিজেদের দাবিকে আরো পরিষ্কার করতে 2 ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সারা রাজ্য জুড়ে। দুপুর 2 টা থেকে বিকেল 4 টা পর্যন্ত চলবে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ।
তাদের এই ন্যায্য দাবি এবং সাথে সাথে ডিএ তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই নিয়ে সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন নি। একটি প্রথম শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা চক্রে উপস্থিত থেকে মাননীয় এম পি শান্তনু সেন মহাশয় সরকারের কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তার সমস্ত সরকারি কর্মীদের পাশেই আছেন।
সরকার প্রত্যেক সরকারি কর্মীদের মাস পয়লা বেতন, পেনশন দিচ্ছেন। মহামারীকালিন সময়ে বেতন সুনিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও সর্বাঙ্গীন ভাবেই সরকার সর্বদা সরকারি কর্মীদের কথা চিন্তা করেন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মেটানোর বিষয়ে তিনি আরো জানান যে, এই ডিএ কিস্তিতে এবং প্রভিডেন্ড ফান্ডের সাথে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছেন তারা।
তবে আজ সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলনের ডাকে সারা রাজ্য জুড়ে কেমন চিত্র ফুটে ওঠে সেটাই দেখার। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ পেতে এই আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান নিয়ে সরকারি কর্মীরা কি সন্তুষ্ট? আন্দোলন কি সরকারি কর্মীদের মনের কথা পৌঁছে দিতে পারবে সরকারের কাছে, উত্তরের অপেক্ষায় কর্মীরা।
মন মাতানো রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে এলো BSNL, এক রিচার্জেই বাজিমাৎ! কি কি সুবিধা পাবেন, দেখুন।
এই বিষয়ে রাজ্যের বিশেষ ব্যক্তিত্ব, সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম মহাশয় বলেন যে, রাজ্য সরকার কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই শোরগোল। রাজ্যের এই মন্ত্রীর কথায়, ‘সরকার ইতিমধ্যেই ডিএ দিয়েছে। সেটাই আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টেও জানিয়েছি। তারপর আবার এসব করার দরকার কী। তার মানে কোর্টে আপনার ভরসা নেই। তাহলে কোর্ট থেকে কেস তুলে নিন।’
এখানেই না থেমে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কোনও সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে যাবে না। কিছু সিপিএম-এর লোক এগুলো করছে সরকারকে বিরক্ত করার জন্য।’ যদিও মামলাকারী সংগঠন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানান, ‘রাজ্য সরকার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, তারা নাকি সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে।’
ফেব্রুয়ারি মাসে 10 দিন ব্যাংক বন্ধ, এই দিনগুলো ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখুন।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘আমাদের দাবি, ডিএ দেওয়া হয়নি। তাই নিয়েই তো সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। পুরোটাই এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচার্য বিষয়। আগামী 15 মার্চ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা ও রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী সেই রায়ের দিকেই তাকিয়ে।’ আজকে আন্দোলন কতোটা ফলপ্রসূ হবে বলে আপনার বিশ্বাস, জানান কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
We win at last