WB Government Scheme: বিরাট খবর! শুধু মহিলারা নন, পুরুষরাও মাসে মাসে পাবেন 1000 টাকা! রাজ্য সরকার আনলো নতুন প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য এই রাজ্যের সরকার বর্তমানে একাধিক প্রকল্প এনেছে (WB Government Scheme) বাংলায় বসবাসকারী মহিলা, পুরুষ উভয়ের জন্যই আছে নানা ধরনের প্রকল্প। প্রকল্পগুলির সহায়তায় রাজ্যবাসী পেয়ে থাকেন আর্থিক সাহায্য। সম্প্রতি পুজোর আগেই রাজ্য সরকারের তরফে একটি বড়সড় ঘোষণা হয়েছে।
সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে শুধু মহিলারা নন, রাজ্যে বসবাসকারী পুরুষরাও বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সকল পুরুষরা মাসে মাসে পেয়ে যাবেন ১০০০ টাকা। কী ভাবছেন? এটা সত্যি কিনা? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ পড়ে নিতে হবে।
সুখবর! প্রতি মাসে ফ্রিতে পাবেন চাল-গম! মমতা সরকারের এই প্রকল্পে মুখে হাসি ফুটল জনসাধারণের
WB Government Scheme 2024
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের মহিলাদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্প চালু করেছিল কয়েক বছর আগেই। যে প্রকল্পের নাম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar). এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা প্রতিমাসে এক হাজার টাকা এবং বারোশো টাকার আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
প্রধানত মহিলাদের আর্থিকভাবে শক্তপোক্ত করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার এই প্রকল্পটি আরম্ভ করেছিল। কয়েক বছরে এই প্রকল্প সারা রাজ্যে যথেষ্ট নাম করেছে। আর এবার জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র মহিলারা নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বসবাসকারী সমস্ত পুরুষদের জন্য প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাঠাবেন।
আসলে পশ্চিমবঙ্গ কৃষি প্রধান রাজ্য। এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রায় অধিকাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। তবে কৃষকদের জীবনযাত্রা মোটেই ততটা স্বচ্ছল নয়। আর সেই জন্য রাজ্যের কৃষকদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নতুন প্রকল্প এনে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পের দ্বারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাঠানো হবে। পুজোর আগে এটি বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের তরফে।
ধামাকা খবর! পুজোর আগে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে 10,000/- টাকা পাঠাচ্ছে সরকার! কিভাবে পাবেন জানুন
WB Government Scheme For Farmers
রাজ্য সরকারের কৃষক ভাতা প্রকল্পে আবেদন জানানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে। যেমন- আবেদনকারী কৃষককে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষকের বয়স ৬০ বছরের অধিক হতে হবে। তবে তফশিলি জাতি ও উপজাতির শ্রেণির কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কৃষকের বয়স ক্ষেত্রে ৫৫ বছর হলেও আবেদন জানানো যাবে।
তবে, এই প্রকল্পে আবেদনকারীর নামে সর্বাধিক ১ একর জমি থাকতে পারে। একজন ভূমিহীন খেমায়ুর হলেও এই স্কিমে আবেদন করা যাবে। তবে আবেদনকারী কৃষক যেন কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগে কোন ভাতা না পেয়ে থাকেন।
জানা যাচ্ছে, প্রকল্পের জন্য অফলাইনে আবেদন জমা নেওয়া হবে। তবে অনলাইন থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে এরপর সেই ফর্ম ফিল আপ করে স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিসে জমা দিতে পারেন বা মহকুমা অফিসেও আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।