Teacher Transfer – শহরের শিক্ষকদের এবার গ্রামের স্কুলে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হলো, সবাইকে কমপক্ষে একবার গ্রামে যেতে হবে?
শুরু হলো Teacher Transfer বা শিক্ষক বদলি, আর কলকাতায় বাড়ির কাছে নয়, চাকরি করলে যেতে হবে গ্রামে।
স্কুলে তো পড়ুয়ার সংখ্যা প্রচুর, অথচ শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম তাই Teacher Transfer করে ঘাটতি মেতাতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বহু স্কুলে শিক্ষকের যথেষ্ট সংখ্যা রয়েছে, অথচ পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের এই ছবির বদল আসতে চলেছে। বিশেষ করে জেলাগুলিতে, গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে দেখা যায়, পড়ুয়ার সংখ্যা থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা সেই অনুপাতে নেই। আবার কলকাতা সংলগ্ন স্কুলগুলিতে পড়ুয়া একেবারে নেই বললেই চলে।
অথচ জেলা বা গ্রামে চাকরি করতে না চেয়ে সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা বদলি নিয়ে কলকাতার স্কুলে এসে ঠায় চুপচাপ বসে দিন কাটাচ্ছেন (Teacher Transfer). সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যের জেলা এবং গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে শিক্ষক ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারকে বদলি নীতি বদল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে গ্রামাঞ্চলে স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি না থাকে।
সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার সেই পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য সরকারও কলকাতার স্কুলগুলি থেকে শিক্ষকদের বিভিন্ন জেলার স্কুলে পাঠানোর প্রক্রিয়া (Teachers Transferred from City to Village) শুরু করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কলকাতার স্কুল থেকে ৫৮০ জন শিক্ষককে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন স্কুলে পাঠানোর জন্য (Teacher Transfer) প্রশাসনিক সুপারিশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
শিক্ষকদের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এরপরেই কলকাতা থেকে আরও ১ হাজার শিক্ষককে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে বদলি করা হবে। সাধারণত কলকাতার স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা খুবই কম। অথচ কলকাতা সংলগ্ন এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বাড়ির কাছে স্কুলগুলিতে বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে রীতিমতো আয়েশ করে দিন গুজরান করছেন।
আর বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যক পড়ুয়া থাকলেও সেখানে শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনা ঠিকমতো করানো সম্ভব হচ্ছে না। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রাজ্য সরকার উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করে। এই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের তাদের বাসস্থানের নিকটবর্তী স্কুলগুলিতে চাকরিতে বদলি (Teacher Transfer) করার সুবিধা দেওয়া হয়।
আর সেই সুবিধাই ভোগ করা শুরু করেছিলেন অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। গ্রামাঞ্চলের স্কুলে না গিয়ে কলকাতা সংলগ্ন কাছাকাছি স্কুলে বদলি নিয়ে এসে চাকরি করছিলেন। ফলে জেলার স্কুলগুলিতে শিক্ষক ঘাটতি বেড়েই যাচ্ছিল (Teacher Transfer). বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৩০ জন পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক থাকার কথা।
সেখানে বর্তমানে রাজ্যে ৪০ জন পড়ুয়াপিছু একজন শিক্ষক রয়েছে। আবার গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে এই অনুপাতও ঠিক থাকে না। তাই এবার রাজ্য সরকার কলকাতা থেকে সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বদলি করার প্রক্রিয়া (Teacher Transfer) শুরু করেছে বিভিন্ন জেলাগুলিতে। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তেই শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ আবার প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন।
ব্যাংক একাউন্ট থেকে 436 টাকা কাটবে, ব্যালান্স না থাকলে টাকা জমা করুন, জরুরী নির্দেশ।
তাদের কথায়, উৎসশ্রী পোর্টাল মারফত যারা বদলি নিয়ে গ্রাম বা জেলা থেকে নিজের শহরে চলে এলেন তাদের আবার কেন জেলায় পাঠানো হবে? কলকাতার শিক্ষকদের জেলায় পাঠানো কতটা যুক্তি সঙ্গত? তারা কি আবার পরে গ্রাম থেকে শহরে ফিরে আসতে পারবেন? শিক্ষকদের একাংশ শহর থেকে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকদের পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান হবে কিনা তাই নিয়েও তারা রীতিমতো সন্দিহান (Teacher Transfer).
তবে যাই হোক, রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা থেকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে বদলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নীতি অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষক কে অন্তত একবার গ্রামের স্কুলে বদলির নিয়ম চালু হলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এবার শিক্ষা দপ্তর কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেটাই দেখার। তবে যেসমস্ত স্কুলে কম পড়ুয়া রয়েছে, সেখান থেকে Surplus Teacher Transfer বা বদলি করে ঘাটতি মেটানো হবে, সেটা এক প্রকার নিশ্চিত।
Written by Satadal Ghosh.