রাতারাতি ডিএ মামলার সিদ্ধান্ত। কিভাবে 31% ডিএ? আদালতের রায়, আজই। জানতে ক্লিক করুন এখুনি!
এবারে রাজ্যকে হয়তো মানতেই হবে এই ডিএ মামলার রায়দান।
“ডিএ মানে বুক দুরু দুরু। ডিএ মানে আইনি অধিকার।
ডিএ মানে জাস্টিস আর আদালতের। ফিরিয়ে দেওয়া পুরস্কার।”
নিজের অধিকার আদায়ের জন্য অন্দোলন যেন মানুষকে পথ দেখায় নতুন করে বাঁচার, নতুন করে স্বপ্ন দেখার। আর দেরি না করে আজই সম্ভবত আদালত তার রায় জানিয়ে দেবেন।
গত ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন গুলির করা DA অবমাননা সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেদিন আর রায়দান করা সম্ভব হয় নি। জাস্টিস হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন।
বাইশ নয় দুই হাজার বাইশ। হ্যাঁ, সত্যি সত্যি। আজকের তারিখ ২২.০৯.২০২২- বেশ একটু অন্যরকম। তারিখ নিজেই বলে দিচ্ছে তার গুরুত্ব। আজই হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত DA মামলার রিভিউ পিটিশনের রায়দান। হাইকোর্টের 4 নম্বর কোর্টে সকাল 10.30 মিনিটে এই মামলাটির রায়দান হবে।
একই সাথে হবে কনটেম্পট মামলার রায়দান। এই বিষয়ে কর্মী মহলের একাংশের ধারণা ছিল যে, যেহেতু বিভিন্ন সময়ে শোনা গেছে যে, জাস্টিসদের ডিভিশন বেঞ্চ চায় মামলার দ্রুত নিস্পত্তি ঘটাতে। তাই হয়তো রায়দান হবে খুব শীঘ্রই। তাদের ধারণাই সঠিক হল।
ডিএ নিয়ে দুটি মামলার শুনানি হয়েছে আদালতে। পূর্বের রায়ে বলা হয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ পরিশোধ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার ৯০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়।
৯০ দিন সময়সীমা শেষ হবার মাত্র দিন দশেক আগে রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। যদিও সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নিমরাজি ছিলেন বিচারকেরা।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, হাইকোর্টই রায় দিয়েছিল যে DA কোন ‘দয়ার দান’ নয়। তা হল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। তাই কোন ভাবেই সরকারের প্রধান হাতিয়ার এই সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
তাহলে রাজ্য সরকার কেন তা দেবে না? সেইসঙ্গে বিকাশবাবু আরও বলেছেন, মূল্য সূচকের ভিত্তিতে AICPI Index মেনে ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্য সরকার ডিএ দেয়। তাহলে বাংলায় কেন তা থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা?
এই বিষয়ে রাজ্যের অর্থ দপ্তরের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে শুনানির সময়ে বলেছিলেন, মূল্য সূচকের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে DA পাওয়া উচিত তা তাঁরা পান। ফলে নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তাঁর যুক্তি অনুসারে, ষষ্ঠ এবং সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ রাজ্য সরকার গ্রহণই করেনি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার বিষয়টি যখন রাজ্য সরকার গ্রহণই করেনি তখন বকেয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা শুরু? তবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের যথোপযুক্ত নথি জমা করে সমস্ত বিষয়টি আদালতে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
এর আগে বেশ কয়েক বার এই ডিএ মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল তথা স্যাট এবং হাইকোর্টে গিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরেই চলছে এই মামলা। তারপর অবশেষে স্যাটের রায়ই বলবত্ করার নির্দেশ দিয়েছিল মহামান্য হাইকোর্ট। আজ মহামান্য আদালত কি রায় দেয় সেটাই এবার দেখার।
কিন্তু রাজ্য সরকার আবার তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে হাইকোর্টে। এখন দেখার বৃহস্পতিবার কী রায় দেয় হাইকোর্ট। আজ তাহলে কি রায় হতে পারে? আপনার মতামত কমেন্টে জানান। আর মামলার আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের প্রতিবেদন শেষ করছি। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.