পশ্চিমবঙ্গে ডিএ নিয়ে ব্যস্ত হল অর্থদপ্তর। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিরাট সুখবর রাজ্যে!
ডিএ মামলায় পরস্পর ধাক্কা। হাতে সময় নেই এক্কেবারে।
ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকার কোন জায়গাতেই নিজেদের সপক্ষে রায় পায় নি। ফলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে বেশ সংশয়ে আছে। কারণ পূর্বে বিদ্যুৎ দপ্তরের ক্ষেত্রে এই বকেয়া ডিএ বিষয়েই রাজ্য সরকারকে সেই সকল কর্মীদেরকে তাদের পাওনা মিটিয়ে দিতে হয়েছিল সুদ সমেত। তবে এবারে কি পদক্ষেপ? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
পুজোর ছুটির পর ফের রাজ্য সরকার বেশ নড়ে চড়ে বসতে চলেছে। হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। হাইকোর্ট সময় বেঁধে দিয়েছে 4ই নভেম্বর। ঐ তারিখেই রাজ্যকে আদালতের রায় অবমাননার জন্য হলফনামা পেশ করতে হবে হাইকোর্টে। এখন রাজ্যের অফিস গুলিতে চলছে পুজোর ছুটি। তবে যদি রাজ্য হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে, তাহলে এখন ঘুম উড়ে গেছে আমলাদের। কারণ, তারা হলফনামা তৈরিতে ব্যস্ত।
রাজ্যের তিনটি সরকারি কর্মী সংগঠন হল – ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজ এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। আগামী 9ই নভেম্বর তারিখে আছে কন্টেম্পট মামলার শুনানি। আর রাজ্যের এই সংগঠনগুলিকে হলফনামার ভিত্তিতে উত্তর জানাতে হবে 7ই নভেম্বর তারিখে। তবে রাজ্য সরকার এখন হলফনামা পেশ করে কিনা, সেটাই দেখার।
সুপ্রিম কোর্টে গেলে রাজ্য সরকার আদতে কোন সুবিধাই পাবে না। এমনটাই জানালেন রাজ্যের এক আইনজীবী। তিনি বলেন, এটা নেহাতই সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছু হবে না। সুতরাং, কোর্টের রায় মেনে রাজ্য সরকার যে ডিএ দিতে বাধ্য তা একেবারেই নিশ্চিত। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তাহলে পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া DA শুধুমাত্র কি 2016 সালের আগের জয়েনিং দের জন্যই? বিশদে জানুন।
ইতিমধ্যেই দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই পরপর ডিএ ঘোষণা হয়েই যাচ্ছে। এই সংক্রান্ত খবর গুলি যেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের মনে বারবার কড়া নেড়ে মনে করিয়ে দেয়, তাদের এহেন বেতন বঞ্চনাকে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই পার্থক্য এখন অনেক। একজন ন্যুনতম বেতনভোগী কর্মচারীও প্রতি মাসে না হলেও অন্তত 15 হাজার টাকার মতো কম বেতন পাচ্ছেন।
বহু আবেদনের পর অবশেষে 6% ডিএ ঘোষণা, কেন্দ্রের পর এবার বেতন বাড়ছে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।
অধিক দ্রব্যমূল্যের বাজারের ঐ কম বেতনেই তাদেরকে সংসার চালাতে হচ্ছে প্রতি মাসে। এবারে সবার চোখ আগামী 4ই নভেম্বর, 2022 তারিখের দিকেই। এমন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। কমেন্ট বক্সে অবশ্যই নিজের সুচিন্তিত মতামত জানান। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.