আর ইচ্ছেমতো বাচ্চা নেওয়া যাবে না, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশাসনের নতুন নির্দেশ।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিশ্বের সব থেকে বড় সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম। দেশের খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদায় বিভিন্ন দেশের ঘাটতির মূল কারণ দেশের অত্যধিক জনসংখ্যা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে দেশের চরম ক্ষতি হতে পারে। তবে সম্প্রতি চিনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঘটলো এক বিরল ঘটনা। সরকার থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে সন্তান ধারণ করার জন্য। আসুন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নিয়ে এমন প্রশাসনিক নির্দেশ এক বিরল ঘটনা।

সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনসংখ্যা আছে চিন দেশে। এই কারণে পূর্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল চিন সরকার। তবে এবারে পুরোপুরি বিপরীত সুর। এবারে জনসংখ্যা কমানো নয়। ক্ষমতায় এসেই দেশের জনসংখ্যা বাড়ানোর দিকেই নজর দিচ্ছে চিনের জিনপিং সরকার।

বিয়ের এক বছরের মধ্যে নিতে হবে সন্তান। নব্যবিবাহিত জুটিদের কাছে ফোন আসছে সরকারের দপ্তর। জেনে অবাক হবেন, জিনপিং নতুন করে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর এই নতুন নীতি কার্যকর হয়েছে চিনে। এবার জনসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে চিন। কঠোরভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি চালানোর পর পুরো 180 ডিগ্রি ঘুরে গেল জিনপিং সরকার।

এমনিতেই বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনসংখ্যা চিনে। একটির বেশি সন্তান নেওয়ার স্বাধীনতা চিনের নাগরিকদের এতদিন ছিল না। ফলে জনসংখ্যা এখন বেশ নিয়ন্ত্রিত। অবশেষে জনসংখ্যা বাড়াতে তত্‍পর হয়েছে জিনপিং সরকার। ই বিষয়ে খুব দ্রুত সেটা কার্যকর করার নির্দেশ সরকারি আধিকারীকদের। 

সূত্রের খবর, জিনপিং সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে এবারে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়াতে নতুন এই নীতি নিয়েছে। এবার থেকে চিন দেশে যারা যারা নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদের বিয়ের পরপর এক বছরের মধ্যেই সন্তান ধারণের নির্দেশ দিচ্ছে সরকার। এতে দেশের জনসংখ্যা বাড়বে। এই নিয়ে ঘন ঘন ফোন যাচ্ছে তাদের কাছে। বোঝানো হচ্ছে এর গুরুত্ব। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ দায়িত্ব।

LPG গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে নতুন নিয়মে বেশ সমস্যায় গ্রাহকেরা। বিস্তারিত দেখুন।

সারা দেশে এখনো চালু না হলেও বেশ কয়েকটি প্রদেশে এই কাজ শুরু হয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেবিগত 40 বছর আগে 1980 সাল থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিল চিন সরকার। 2015 সাল পর্যন্ত এই নীতিতে চলেছে গোটা চিন। সারা বিশ্ব তাদেরকে বাহবা জানিয়েছে এই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে।

তবে দীর্ঘ দিনের এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দেশের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। 1988 সালে জনসংখ্যায় গ্রোথ রেট ছিল 1.74 শতাংশ যা এখন 2021 সালে এসে দাঁড়িয়েছে 0.07 শতাংশে। এই বিষয়ে বেশ চিন্তিত চিন সরকার। সুবিশাল দেশে জনশক্তিকে নানা কাজে ব্যবহার করে দেশকে উন্নতির পথ দেখায় সরকার। এক্ষেত্রে এই ঘাটতি দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও 10000 টাকা দিচ্ছে মোদী, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

ভারতে জনসংখ্যা খুব একটা কম নয়। বর্তমানে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। ভারতে জনসংখ্যার গ্রোথ রেট 1.0% ছিল 2021 সালে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভারতেও কি নেওয়া হতে পারে কোন নতুন পদক্ষেপ? এই বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button