Unique Citizen Card – সারা ভারতে চালু হচ্ছে নতুন নাগরিকত্ব কার্ড। এই কার্ডের সুবিধা ও কিভাবে পাবেন?
Unique Citizen Card In India
আর একদিন পর নতুন বছর। নতুন বছরে দেশে আসছে ইউনিক সিটিজেন কার্ড (Unique Citizen Card). এই নতুন বছরের বাজেট পর্ব শেষ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে পরবর্তী জনগণনার কাজ। এরই মাঝে নাগরিকত্ব ইস্যুতে ভারত সরকার (Central Government) নিতে চলেছে নতুন উদ্যোগ। মোদি সরকার দেশে চালু করছে ইউনিক সিটিজেন কার্ড। এই কার্ড ঠিক কি ধরনের? কিভাবে ব্যবহার হয় এই কার্ড? জনগণ কি কি সুবিধা পাবেন? সমস্ত উত্তর রইল আজকের প্রতিবেদনে।
Unique Citizen Card In India
এই বছর থেকেই খবর পাওয়া যাচ্ছিল, মোদি সরকার (Narendra Modi) জনগণনার কাজ শুরু করতে চলেছে। দীর্ঘ অনেকগুলি বছর পর ভারতবর্ষে জনগণনা হতে চলেছে। আগামী বছর তথা ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস থেকেই পরবর্তী সেন্সাস বা জন গণনার কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে সেন্সাসের পাশাপাশি আপডেটের কাজ চলবে। জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR) আপডেটের কাজ হবে। ২০১০ সালের পর প্রথমবারের জন্য এটি হতে চলেছে।
নিয়ম অনুসারে, প্রতি ১০ বছর অন্তর সেন্সাসের পাশাপাশি NPR-এর কাজ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। যা পুনরায় ২০২৫ সালে করা হবে। সরকারি সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের মার্চ মাসে সেন্সাসের রিপোর্ট প্রকাশ হবে। এরপর লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য গঠন করা হবে ডিলিমিটেশন কমিশন। আর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এবার একটি নতুন সিটিজেন কার্ড ইস্যু করার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে মোদি সরকার।
নতুন সরকারি ডকুমেন্ট আনল মোদী সরকার। আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের ভবিষ্যৎ কি?
ইউনিক সিটিজেন কার্ডের ভূমিকা কি হবে?
এই সিটিজেন কার্ড বৈধ হবে ভারতীয় নাগরিক দের জন্য একটি বিশেষ পরিচিতি কার্ড হিসেবে। এতে উল্লেখ থাকবে একটি ইউনিক সিটিজেন নম্বর, যা ভবিষ্যতে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্য প্রধান ডকুমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। ভারতীয় জনগণের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা প্যান কার্ডের মতো এই কার্ডও গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হতে চলেছে।
আবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে সিটিজেন কার্ড চালু করা হলে বৈধ, অবৈধ নাগরিকদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০২৫ সালের সেন্সাস এবং NPR-এর ভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। সূত্রের খবর, এই উদ্যোগ চূড়ান্ত হলে বাজেটেের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
মোদি সরকারের তরকে খবর, ভারতবর্ষের জনগণের জন্য চালু থাকা ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড বা আধার কার্ডকে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তাই এবার নাগরিকত্বের প্রমাণ রূপে স্পষ্ট নথি হিসেবে একটি পৃথক সিটিজেন কার্ড চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।