Swasthya Sathi Card – স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেই এবার করাতে পারবেন না চিকিৎসা। মানতে হবে বিশেষ কিছু শর্তাবলী।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বা Swasthya Sathi Card এর নিয়মে আনা হলো বড় বদল। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারগুলিকে স্বাস্থ্য বিমার অধীনে আনা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি পরিবারের তরফ একটি করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিয়েছে সরকার । যেখানে ১.৫ লক্ষ টাকা অব্দি প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৩ লাখ টাকা অব্দি আবেদনকারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
Swasthya Sathi Card Rule Change 2024
এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা এবং তাদের সুস্থ রাখা। প্রকল্পে শুধু রোগীদের চিকিৎসার খরচ প্রদান করা হয়না তার পাশপাশি চিকিৎসার সাথে যুক্ত বেশকিছু খরচাও বহন করা হয়। যেমন ওষুধের দাম, যানবাহন খরচ ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবলমাত্র সরকারি হাসপাতালই নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এই কার্ডের অপব্যবহার করছেন বেশ কিছু মানুষ সহ বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। এর ফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয় যাচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। যা সম্পূর্ণ অবাঞ্চনীয়। তাই রাজ্য সরকার এই মর্মে একটি অডিট করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার দরকারের অতিরিক্ত টাকা প্রয়োজন পড়লেও দেবেন না রাজ্য সরকার। সুতরাং সাবধানতার সাথে চিকিৎসা করাতে হবে।
নতুন এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলবে আরও একাধিক সুবিধা। কীভাবে আবেদন করবেন?
সূত্রের খবর সামান্য জর সর্দি কাশি জন্য বেশ কিছু দিন অতিব্যায়িত করছেন। যা হয়ত সামান্য কিছু ওষুধে বা বাড়িতে ঠিক হতে পারত তার জন্য হাসপাতালের বেডে থাকছেন রোগীরা। এর ফলে হাসপাতালগুলিও বেশ মোটা মোটা টাকার বিল বানাচ্ছেন। যার ফলে রাজ্যের কোষাগার থেকে চলে যাচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। হাসপাতাল এবং বেশ কিছু মানুষের সাধারণ মানুষের স্বার্থে দেওয়া এই স্বাস্থ্য বিমা কার্ডের তুমূল অপব্যবহার করছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে এই সমস্ত রোগীদের ভর্তি না নিলেই পারেন বা সঠিক সময়ের রিলিজের মাধ্যমে ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এমনটা হচ্ছেনা উপরন্তু তারা চাপিয়ে দিচ্ছেন অতিরিক্ত খরচ। এখানে বলাই বাহুল্য তারা এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকা কামাতে চাইছেন। এই মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানান কোনো রোগীকে ১০ দিনের অধিক হাসপাতালে রাখা যাবেনা। একান্তই যদি রাখতে হয় তবে অডিট টিমের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তে যেতে হবে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে।
হাসপাতাল যদি এই নিয়মের উর্ধ্বে জান তাহলে সেই খরচ কোনো ভাবেই রাজ্য সরকার বহন করবেন না এই কথাও বলেন তারা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের ওপর জরিমানা চার্জ করা হতে পারে। অপারেশন ও গাইনোলজিক্যাল সার্জারির ক্ষেত্রেও বদলালো একাধিক নিয়ম। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী রোগী যে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হয়েছে সেটি ব্যতীত অন্য কোনো অস্ত্রোপচারের জন্যও টাকা দেবে না সরকার।
Written by Sathi Roy.