SSC মামলায় ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ! স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পেলেন শিক্ষকরা। চলতি বছর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যে
SSC Case Verdict On West Bengal
এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অবশেষে স্বস্তি পেলেন শিক্ষকরা। পর্ষদের আর্জিতে সাড়া দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court) ‘দাগি’ (টেন্টেড) নন এমন শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। এদিন বৃহস্পতিবার ছিল এসএসসি মামলার শুনানি। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গুরুত্বপুর্ণ নির্দেশ দিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলছে, আগামী ৩১ মে তারিখের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তারা চলতি বছরেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করবে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়া।
SSC Recruitment Scam In West Bengal
গত ৩ রা মে সুপ্রিম কোর্ট ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। তবে সেই নির্দেশ মেনে চুপ করে বসে থাকে নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করেছিল পর্ষদ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে তাদের আর্জি ছিল যে, ‘দাগি’ বা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ না হওয়া শিক্ষক দের চাকরি বহাল রাখা হোক। আর এবার সেই আর্জিতে বৃহস্পতিবার পর্ষদের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে কী জানানো হয়েছে?
এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ‘দাগি’ কিংবা ‘অযোগ্য’ নন এমন শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে এও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশাল সুখবর! আপার প্রাইমারির 14 হাজার শিক্ষক নিয়োগে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার ঘোষণায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা আচমকা শীর্ষ আদালতের নির্দেশ শুনে দিশেহারা। বাতিল হয়েছে সম্পূর্ণ ২০১৬ সালের প্যানেল। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বাতিল হয়েছেন যোগ্যরাও। এখনো সেই যোগ্য অযোগ্য বাছাইকরণ হয়নি। চারিধারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছেই। এরই মাঝে সরকার (WB Government) নিল বড় পদক্ষেপ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হতে প্রত্যেকেই এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তিত। আইনি প্রক্রিয়ায় যারা যোগ্য তারা কি আবার চাকরি ফিরে পাবেন? প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। তবে এবার সকল চাকরিহারা শিক্ষকদের আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী তিনি জানিয়েছেন, আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও সরকার থেমে থাকবে না।
চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েই সমস্যার একটি উপযুক্ত সমাধান বার করবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এই ঘোষণা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে শিক্ষা দপ্তরের বেতন তালিকায় নাম এল যোগ্য কর্মীদের। তাহলে কি চাকরিহারা শিক্ষক রা আবার আগের মতো বেতন পাবেন? যা জানা যাচ্ছে, শিক্ষকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্য থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
উপসংহার: এদিন সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, চলতি বছর শেষের আগেই পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি নির্দেশ কার্যকর না হয়, তবে সেটিকে প্রত্যাহার করা হবে বলেও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন। যদিও নতুন নির্দেশ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাঁদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশই বহাল থাকছে।