Government Scheme: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী! সকলের অ্যাকাউন্টে এল 10000 টাকা! আপনি পেয়েছেন তো? না পেলে কি করবেন?

রাজ্য সরকারি প্রকল্পে ১০,০০০ টাকা পাঠাচ্ছে সরকার।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসী সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য একগুচ্ছ নতুন স্কিম (Government Scheme) এনেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের জীবনযাপন সুন্দর ভাবে করতে পারেন তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, মহিলারা, প্রবীণ নাগরিক থেকে দরিদ্র আমজনতা সকলের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প রয়েছে রাজ্যে। ‌রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সকলের ব্যাংক একাউন্টে চলে এল ১০,০০০ টাকা।‌ আপনি প্রকল্পে আবেদন করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে আজকের প্রতিবেদন অবশ্যই পড়ে নিন।

WB Government Scheme Taruner Swapna

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-ছাত্রী দের জন্য বেশ কিছু নতুন প্রকল্প (Government Scheme) বিগত কয়েক বছরে চালু করেছেন। তার মধ্যে একটি প্রকল্প হল তরুণের স্বপ্ন স্কিম (Taruner Swapna Scheme). এই প্রকল্পটি
অতিমারীর পরিস্থিতিতে রাজ্যে চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে দারুন জনপ্রিয় হয়েছে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে।

রাজ্য সরকারের তরফে চালু থাকা প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হন গোটা রাজ্যের মানুষ। তবে বিগত কিছুদিন ধরে সরকারের একাধিক প্রকল্প ঘিরে জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসছিল প্রকল্পের টাকা উধাও হওয়ার খবর সামনে আসে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা ছাড়াও পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার জন্য ১০০০০ টাকা-সহ আরও একাধিক প্রকল্পের টাকার ক্ষেত্রেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।

অভিযোগ ওঠে, প্রকল্পের টাকা আসল প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না এসে চলে যাচ্ছে অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে। আর এই সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা দিচ্ছে তরুণের স্বপ্ন স্কিমের ক্ষেত্রে যেখানে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠায় সরকার। আবার, কোনো কোনো স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের টাকা ঘুরপথে চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে।

তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ফেরত পেলেন পড়ুয়ারা!

আবার কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে অতিরিক্ত টাকা। এরম অভিযোগ সামনে এসেছিল পূর্ব বর্ধমানের ক্ষেত্রে। অভিযোগ ছিল, ওই জেলার মোট ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হলে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার সেই টাকা ফেরত পেলেন সংশ্লিষ্ট ২৮ জন পড়ুয়া।

অনেক আগেই বর্ধমানের সিএমএস স্কুল থেকেই অভিযোগ অভিযোগ এসেছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে মোট ৪১২ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট পোর্টাল মারফত আবেদন করেছিল। তবে সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও মট ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা পাননি। যদিও পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিলে জানা যায় যে তাদের প্রকল্পের টাকা নাকি অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে।

ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার! এবার কি করলে টাকা পাবেন?

এরপর জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই), অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয় সাইবার বিভাগেও। পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া এদিন সোমবারই ট্যাবের টাকা ফিরে পেয়েছে যে যার নিজেদের অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয় বর্ধমানের আরও একাধিক স্কুলের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টেও ঢুকে গিয়েছে প্রকল্পের টাকা। ইতিমধ্যে রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে আপনারাও যদি ট্যাবের টাকা না পেয়ে থাকেন, তাহলে অভিযোগ দায়ের করবেন। আপনাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।

Related Articles

Back to top button