বাড়ি বসে গুগল সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেখার উপায়। ফ্রিল্যান্সিং শিখে কিভাবে প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করবেন?

Google Certified Freelancing Course

বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স (Freelancing) অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বাধীনভাবে কাজ করে যদি রোজগার করতে চান তাহলে আপনিও বেছে নিতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেশা। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি যেমন কাজ করবেন, আপনার রোজগার হবে ততটাই ভালো। ‌অনেকেই মাসে প্রায় লাখ টাকা ইনকাম করেন ফ্রিল্যান্সিং করে। তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে গুগল সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স (Google Freelancing Course) করে নিতে পারেন।

গুগল সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের সুবিধা

প্রথম কথা হল আপনি কেন গুগল সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করবেন? আসলে এই কোর্স করলে প্রভূত উপকৃত হবেন। গুগল প্রত্যেককে অফার করে পেইড এবং নন পেইড কোর্স। এই কোর্সগুলি করলে আপনি বিভিন্ন দিক থেকে দক্ষ হয়ে উঠবেন। পরবর্তীকালে এই ফিল্ডে পারদর্শী হয়ে উঠবেন আপনিও। গুগল সার্টিফাইড কোর্স থেকে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, SEO, এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো ফিল্ডে।

গুগল সার্টিফাইড কোর্স কেন করবেন?

গুগল সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের অনেক সুবিধা। এক নজরে দেখে নিন কি কি সুবিধা রয়েছে।

  1. এখানে বিনামূল্যে অনেক কোর্স পাওয়া যায়।
  2. কোর্স করার পর আপনিও গুগল স্বীকৃত সার্টিফিকেট পাবেন। যা পরবর্তীতে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে বাড়তি সুবিধা দেবে।
  3. গুগল সার্টিফিকেট ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে আপনার কাজের দক্ষতা বাড়বে, গ্লোবাল মার্কেটে আপনি বিভিন্ন কাজের সুযোগ পাবেন।

ড্রপশিপিং ব্যবসা কি? কিভাবে কম বিনিয়োগে লাভজনক অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন?

কোথায় পাবেন গুগল সার্টিফাইড কোর্স?

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনিও গুগলের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কোর্স করতে পারেন। কি কি কোর্স অফার করা হয়?

  1. Google Digital Garage
  2. Google Skillshop
  3. Coursera (Google Certified Courses)
  4. Udemy & LinkedIn Learning

নতুন বছরে সেরা ব্যবসার আইডিয়া। সব সময়ে লাখ টাকা আয়ের সুযোগ

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন কিভাবে?

এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানা যাক। গুগল সার্টিফাইড কোর্স করার পর ঠিক কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন? এক নজরে জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ।

  1. নির্দিষ্ট একটি দক্ষতা বেছে নিন। আপনি কোন ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান প্রাথমিকভাবে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা বেছে নিতে হবে। যেমন মনে করুন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, SEO বিল্ডিং।
  2. আপনি কোন ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটি বেছে নেওয়ার পর আপনাকে এই বিষয়ে প্র্যাকটিস করতে হবে আর পোর্টফোলিও তৈরি করে নিতে হবে। কিছু ডেমো প্রজেক্ট তৈরি করে পোর্টফোলিও বানিয়ে নেবেন।
  3. আরো একটি বিষয় যেটি আপনাকে করতে হবে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলুন। উদাহরণস্বরূপ- Fiverr, Upwork, Freelancer PeoplePerHour
  4. এবার সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার প্রোফাইলটিকে ভালো করে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করতে হবে। আর তারপর কাজের অফার পাঠান।
  5. মনে রাখতে হবে প্রথমেই আকাশছোঁয়া বাজেট না রেখে প্রথম কয়েকটি কাজ কম দামে করুন। এতে যে উপকারটি হবে, আপনার প্রোফাইলে ভালো রিভিউ আসবে।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে কিভাবে লাখ টাকা আয় করবেন?

এবার দেখে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয়ের উপায়গুলি কি কি।

  1. ফ্রিল্যান্সিং থেকে লাখ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে হবেন এর জন্য মার্কেটপ্লেসে একাধিক কাজ নিন এবং সময় করে ম্যানেজ করুন।
  2. কারোর মাধ্যম না হয়ে সরাসরি ক্লায়েন্ট খুঁজুন। এতে আখেরে আপনার লাভ হবে। মার্কেট প্লেস ছাড়া ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন লিংকডইন, ফেসবুক, এবং ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
  3. এছাড়াও, প্যাসিভ ইনকামের ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন ব্লগিং, ইউটিউব, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি জায়গায় ডিজিটাল কোর্স বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি করুন।
  4. ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে আপনাকে সব সময় আপডেটেড থাকতে হবে। নতুন নতুন ট্রেন্ড শেখার মাধ্যমে নিজেকে আপডেট করার চেষ্টা করুন।

Related Articles

Back to top button