SSC Recruitment Scam – অবৈধ শিক্ষকদের জন্য সরকারি নির্দেশ! জমা দিতে হবে এই সমস্ত নথি। স্কুলে স্কুলে কি নির্দেশ এলো
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি বা SSC Recruitment Scam নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ২০১৪ সালের যে এস এস সি পরীক্ষা হয়েছিল তাতে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ায় মতন অভিযোগে এক লহমায় কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি চলে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
SSC Recruitment Scam Teachers Submit These Documents
যদিও প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করেছে এস এসসি (SSC Recruitment Scam) শিক্ষা সংসদ কিন্ত ফাইনাল তালিকা তৈরি করে ফের শুনানির দিনের অপেক্ষায় হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী।
এদিকে এরই মধ্যে চাপ বাড়ল রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কারণ শিক্ষা দপ্তর থেকে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি পাওয়ার সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন (SSC Recruitment Scam).
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সমস্ত স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নথি দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর। যা জানা যাচ্ছে তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষককে নথি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, ২৭ মে পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় হার্ড কপি জমা দিতে হবে তাদের। এই নথি গুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র। কমিশন তরফে নিয়োগ (SSC Recruitment Scam) পাওয়া শিক্ষক না হলে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো।
এরপর প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে ডিআই-দের কাছে প্রমাণের হার্ড কপি চলে যাবে। সমস্ত তথ্য কাগজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিআই-রা। আগামী ৭ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ কেন সমস্ত শিক্ষকদের এমন নির্দেশিকা দেওয়া হল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (SSC Recruitment Scam).
এককথায় বিভ্রান্তিতে রয়েছেন বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা। কারণ একেই চলছে গরমের ছুটি। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাই গরমের ছুটিতে ভ্রমণ করতে গিয়েছেন স্বপরিবারে তার উপর ভোটের কারণে বহু জায়গায় স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির হয়েছে। তাই সেখানে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্যের নির্দেশ পালন করা হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (SSC Recruitment Scam).
22 হাজার 500 কোটি টাকার DA বকেয়া রয়েছে! কবে মিটবে এই বকেয়া DA? কি বলছে রাজ্য সরকার
তারমধ্যে অবসরের পথে রয়েছেন অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের কাছে এই নির্দেশিকা কিছুটা অবাক করে দিয়েছে কারণ এই বয়সে এসে বিভিন্ন নথি আবার নতুন করে প্রমাণ করা একটা ঝক্কির ব্যাপার। এদিকে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকেরও একটা চিন্তা হয়ে গেছে এই অল্প সময়ের মধ্যে কি করে এত দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মান্য করা হবে (SSC Recruitment Scam).
এই প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রের দাবি, ভোটের জন্য কাজ চলছে তাই বহু স্কুলই এখন প্রধান শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে নেই। পাশাপাশি বহু শিক্ষক গরমের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্যের নির্দেশে বিভ্রান্ত তারা। তা ছাড়া, বহু বছর আগে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের নথিও পেতে আরও সমস্যা হতে পারে বলেও মত তাদের।
তবে জানা যাচ্ছে, অবৈধ নিয়োগ হয়েছে কিনা তার তথ্য খুঁজে বার করা সেইসাথে বর্তমানে কর্মরত সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নথি ডিজিটালাইজ করার জন্যই এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (SSC Recruitment Scam).