PM Poshan – স্কুল পরিদর্শনে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল। কি কি রেডি রাখবেন, জেনে নিন।

নতুন বছরে চাপ বাড়ছে স্কুলে স্কুলে। এবারে PM Poshan নিয়ে কেন্দ্রের নজরদারি শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে। আগামী বছর অর্থাৎ 2023 সালের শুরু থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। বিদ্যালয়গুলিতে কোন বিষয় গুলিতে নজর দিতে হবে, কি কি কাগজপত্র রেডি রাখবে, আজকের প্রতিবেদনে সেই সক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় জেনে নেওয়া যাক।

স্কুল গুলিতে PM Poshan নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।

এমনিতেই বিদ্যালয়গুলিতে একের পর এক দায়িত্ব এসে পড়ছে শিক্ষকদের ঘাড়ে। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই এবারে নতুন করে পালন করতে হবে শিশু সপ্তাহ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তর থেকে। এর সব থেকে বড় আকর্ষণ হলো Graduation Ceremony. তবে এবারের কেন্দ্রীয় পরিদর্শনে PM Poshan সহ নজরদারি চালানো হবে অন্য বিষয়ে।

স্কুল গুলিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত PM Poshan এর অধীনে মধ্যাহ্নকালীন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এতো অল্প পরিমাণ বরাদ্দে আকাশ ছোঁয়া বাজার দরে PM Poshan নামক এই প্রকল্প চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের। বিগত দিনে বিদ্যালয় শিক্ষকেরা এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার ডেপুটেশন জমাও করেছেন শিক্ষা দপ্তরের কাছে।

তবে সম্প্রতি PM Poshan এর অধীনে আর্থিক বরাদ্দ সামান্য বৃদ্ধি হলেও তাতে কতটা লক্ষ্য পূরণ সম্ভব, সেটাই দেখার। বর্তমানে এই প্রকল্পের নাম হয়েছে PM Poshan Shakti Nirman বা সংক্ষেপে PM Poshan Scheme. বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্পে চাল চুরি, নিম্ন মানের খাদ্য পরিবেশন, কম খায়িয়ে খাতায় কলমে বেশি ছাত্র দেখানো সহ নানা বিধ অভিযোগ স্মানে এসেছে।

তবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে কিছুই প্রমাণিত হয়না। আর সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এক্ষেত্রে তদারকি করবেন বিশেষজ্ঞ অফিসারেরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন তারা। তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সারা দেশ জুড়েই চালু এই কার্যক্রম।

রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো নিয়ে পূর্বেই সুর চড়িয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাথা পিছু বরাদ্দ করা হচ্ছে 5 টাকা 45 পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে এই বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে 8 টাকা 17 পয়সা। এই অর্থের 60 শতাংশ টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র এবং বাকি 40 শতাংশ বরাদ্দ করে রাজ্য।

রান্নার গ্যাসের দাম থেকে ব্যাংকের সুদ, নতুন বছর থেকে বদলাচ্ছে 4টি নিয়ম। মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘মিড-ডে মিলে যা বরাদ্দ কেন্দ্রীয় সরকার করে, তাতে শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়াটাই মস্ত চ্যালেঞ্জ। তার পরেও অতিমারীকালে এবং তার পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবং শিক্ষকসমাজের সহযোগিতায় স্কুল বন্ধ থাকাকালীনও রাজ্যের পড়ুয়ারা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে মিল পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তদারকির নাম করে কেন্দ্রের খবরদারি সাজে না। প্রান্তিক শিশুদের জন্যে কতটা যত্‍সামান্য বরাদ্দ করে তারা ছড়ি ঘোরাতে চাইছে, সেটা অনুধাবন করা উচিত কেন্দ্রের।’

যদিও ব্রাত্যের অভিযোগ নস্যাত্‍ করে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের বক্তব্য, ‘সাড়ে 11 হাজার কোটি টাকার ওপরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ রয়েছে এই প্রকল্পে। দেশজুড়ে 12 কোটি ছাত্রছাত্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এই প্রকল্পে দুর্নীতি বা অন্য যে কোনও রকমের অভিযোগ যদি আমরা পাই তাহলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। বাংলা সহ একাধিক রাজ্য থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে। তাই প্রতিনিধি দল এসে খতিয়ে দেখবেন সে সব সত্যি না মিথ্যা। দুর্নীতি না হলে ভয় কেন?’

রাজ্যে নতুন ছুটির জরুরী বিজ্ঞপ্তি। পশ্চিমবঙ্গের অফিস আদালত, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে।

আগামী বছরের শুরুতেই স্কুলের রাঁধুনির একটি ট্রেনিং দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই খবর। কেন্দ্রের এই নজরদারি সংক্রান্ত আরও আপডেট পেলে আমরা তৎক্ষণাৎ তা প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরবো। আপনার যেকোনো মন্তব্য আমাদের জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button