ডিএ আন্দোলনের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে 3000 বেতন কমে গেল, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
কাজ একই,অথচ মহিলারা পাবেন কম বেতন, প্রতিবাদের ঝড় রাজ্যে, কি জানাল সরকার !
কাজ একই, দায়িত্ব একই, পদমর্যাদা একই, তবুও শুধুমাত্র মহিলা হওয়ার কারণে পুরুষদের তুলনায় ৩০০০ টাকা বেতন কম দেওয়া হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর লিঙ্গ বৈষম্যের (Gender Inequality) কারণে বেতনের এই পার্থক্য নিয়ে রীতিমত প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ৫৪০ টি আয়ুষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০৮০ জন যোগ প্রশিক্ষক (Yoga Trainer) নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পুরুষ যোগ প্রশিক্ষকদের ৮ হাজার টাকা এবং মহিলা যোগ প্রশিক্ষকদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয় ঘোষণা করা হয়।
ব্যাংক থেকে পোস্ট অফিসের একাউন্টে কিভাবে টাকা জমা করবেন, নিয়ম শিখে নিন।
আর তারপরেই প্রতিবাদ শুরু হয়। শুধুমাত্র লিঙ্গবিশেষে বেতন বৈষম্যের এই কারণে রাজ্যের সমস্ত মহলেই প্রতিবাদ শুরু হয়। রাজ্য যোগ এবং ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের তরফেও রেজিস্টার- কাউন্সিলর ডক্টর শুভ্র ভট্টাচার্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দিয়ে লিঙ্গ বিশেষে এই বেতন বৈষম্যের নির্দেশিকা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই নির্দেশিকা ৩১ মার্চ প্রকাশিত হওয়ার পরেই বেঙ্গল যোগা এবং ন্যাচারপ্যাথির তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে একই দায়িত্ব এবং কাজ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র লিঙ্গবিশেষে পার্থক্যের কারণে বেতন কমানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। বাংলায় পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ চলবে না। মহিলা যোগ প্রশিক্ষকদের পুরুষ যোগ প্রশিক্ষকদের তুলনায় ৩ হাজার টাকা বেতন কমানোর বিষয়টি জানাজানি হতেই একাধিক সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ শুরু হয়।
এমনকি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য আলোচনা চলতে থাকে। তবে এর মধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে যোগ এবং ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের (Yoga and Naturopathy Council) পক্ষ থেকে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। এই প্রসঙ্গে ডক্টর শুভ্র ভট্টাচার্য বলেন, হয়তো মনে করা হয়েছিল, মহিলারা কাজ কম করবেন। আদৌ পুরোটা করতে পারবেন কিনা। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকেই হয়তো এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তার প্রতিবাদ করেছি আমরা। তিনি এই প্রসঙ্গে আরো জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে, লিঙ্গ বৈষম্য যেন বিজ্ঞপ্তিতে দূর করা হয়। শুধুমাত্র যে রাজ্যের যোগ প্রশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কম বেতন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাই নয়, দেশের বহু ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত দেখা যায় একই দায়িত্ব, একই পদমর্যাদা এবং একই কাজ করতে হলেও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে কম বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
যেন সমাজের ভিতরে একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে যে, মহিলাদের কম পারিশ্রমিক দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কাজ করিয়ে নেওয়া যায়। এই বিষয়টি দেশের বহু ক্ষেত্রেই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থাগুলোতে একই ধরনের কাজ পুরুষ এবং মহিলা যখন করছেন, তখন পুরুষ কর্মচারীর তুলনায় মহিলা কর্মচারীকে বেতন কম দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বহু সুযোগ সুবিধাও অনেক ক্ষেত্রে কম পেয়ে থাকেন তারা, বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর অধিকাংশ বেসরকারি সংস্কার নিয়োগ পদ্ধতির মধ্যেই এই ধারণা প্রচলিত হয়ে গিয়েছে যে, একই কাজ একজন পুরুষের তুলনায় মহিলা কর্মীকে দিয়ে করিয়ে নিলে কম বেতনে করিয়ে নেওয়া যাবে। আর সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই বিষয়টি ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সরকারি ক্ষেত্রে খুব একটা এই ধরনের অভিযোগ উঠতে দেখা যায় না। সম্প্রতি যোগ প্রশিক্ষকদের (Yoga Trainer) ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই কম বেতন দেওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নিয়ম আরও সহজ হল, স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভান্ডার এবার সবাই পাবে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের যোগ এবং ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প তৈরি করেছেন। যা বাস্তবায়িত করার মধ্য দিয়ে মহিলাদের শিক্ষা এবং কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের এরকম একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছে।
Why the retired special educators have to live from hand to mouth with no pension?Being terminated under the contractual engagement as special educator from the SSM,Paschim Medinipur after completing the age of 60years,having nothing to survive.