Rice Cultivation – বাংলার কৃষকদের সুখবর। জমিতে ফলছে সোনা, কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা।
বাইরের কোনো রাজ্য থেকে চাল আনার প্রয়োজন হয় না বাংলায় (Bengals Rice Cultivation). বাংলা নিজেই যথেষ্ট পরিমাণে চাল উৎপাদন (Rice Cultivation) করার ক্ষমতা রাখে। আর এটা দেশের মোদি সরকারের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে। যেখানে মোদি সরকারের আমলে দেশ ক্রমাগত পিছিয়ে চলেছে, ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তরণের পথে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যে অন্য কোথাও থেকে চাল নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। বাংলার মধ্যে উৎপাদিত চাল রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাবাসীদের কাছে সরবরাহ করা হবে।
Rice Cultivation in West Bengal
এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নির্দেশ অনুযায়ী রেশন ব্যবস্থায় বর্তমানে সম্পূর্ণ বাংলা থেকেই উৎপাদিত চাল সরবরাহ করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগ এবং কৃষকদের ভূমিকার প্রশংসা করে এক প্রস্তাব আনা হয়। সেই প্রস্তাবের উপরে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে ধান থেকে আলু, ভুট্টা সমস্ত চাষেই ব্যাপকভাবে সাফল্য হয়েছে এসেছে।
রেশন ব্যবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মানুষদের রাজ্য থেকে উৎপাদিত চাল সরবরাহ করতে হবে।(Bengals Rice Distribute in Rationing System) আর সেই লক্ষ্যেই চাষীদের কাছ থেকে ব্যাপক পরিমাণে ধান কেনা শুরু হয়ে যায়। চলতি বছরে ৫২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার। আরো ৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হতে পারে। আর সেই চাল রাজ্যবাসীদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
কোটি কোটি কৃষকদের সুখবর। টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এইভাবে আবেদন করুন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দালাল ফড়েদের হাতে চলে যাচ্ছে। তৃণমূলের তরফে সরকারের উদ্যোগ এবং কৃষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করে এক প্রস্তাব আনা হয় (Bengals Rice Distribution). আর সেই প্রস্তাবে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য আরো বলেন, রাজ্যে ২০১১ সাল পর্যন্ত সিপিএম সরকারের আমলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল (Rice Cultivation) বিক্রি করার সঠিক পদ্ধতি না থাকায় রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন চাষিরা।
রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনার নির্দেশ দেন। আর সেই চাল রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ (Bengals Rice Distribution) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই ধীরে ধীরে রাজ্যের কৃষকদের পরিস্থিতি যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। ধান, (Rice Cultivation) আলু, ভুট্টা, সমস্ত চাষেই ব্যাপক সাফল্য এসেছে। যেখানে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদিত হতো, সেই জায়গায় চলতি বছরে সেই ভুট্টা উৎপাদনের পরিমাণ ২৮ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপনার কাছে ই-শ্রম কার্ড থাকলে প্রতিমাসে পাবেন 3000 টাকা করে, জেনে নিন আবেদন
পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কথায়, এক সময় যে জমিতে ধান চাষ (Rice Cultivation) করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে পারতেন না, সেই জমিতেই বর্তমানে ভুট্টা চাষ করে কৃষকেরা ব্যাপক পরিমাণে লাভ পাচ্ছেন (Bengals Rice Distribution). ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। বিধানসভার অধিবেশনে কৃষকদের ভূমিকা নিয়ে এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশংসাসূচক প্রস্তাব আনা হয়।