RBI এর কোপে পড়ে লাইসেন্স বাতিল হল জনপ্রিয় এই ব্যাংকের, সমস্যায় গ্রাহকরা, ঝাঁড় গেলো জামানো সব টাকা।
RBI – লাইসেন্স বাতিলে বন্ধ টাকা তোলা, সমস্যায় গ্রাহকরা।
দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সর্বোচ্চ শিখরেঅবস্থান করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI). সরকারি, বেসরকারি সমস্ত ব্যাঙ্কের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকে আরবিআই। কোনো ব্যাঙ্ক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সহযোগিতা যেমন করে থাকে আরবিআই, তেমনই গ্রাহক পরিষেবা বা অন্যান্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিলও করে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মোটের উপর বলা যায়, ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
বিশ্ব জোড়া আর্থিক সমস্যার মধ্যে খোদ আমেরিকায় যখন ব্যাঙ্কিং (RBI) ব্যবস্থার স্বাস্থ্যের অবস্থা অনেকাংশে করুণ, সেখানে কড়া হাতে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার স্বাস্থ্যকে বেশ ভালো জায়গাতে সক্ষম হয়েছে আরবাআই।
ড্রাইভিং লাইসেন্সে বড় বদল আনছে রাজ্য, বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরানোর আগে জেনে নিন।
আরবিআই (RBI) প্রদত্ত নিয়ম গুলি না মানার কারণে এবং অসৎ উপায় অবলম্বন করার কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেও ভারতের বহু সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করেছে। এবার আরবিআইয়ের কোপে পড়ে সম্প্রতি আরও একটি সরকারি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হল। এবার মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে আরবিআই। বর্তমানে ওই ব্যাঙ্কটি তাদের সমস্ত শাখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
আরবিআই (RBI) কর্তৃক কোনও ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করার অর্থ হল, সেই ব্যাঙ্কের কোনো শাখাতেই আর কোনরকম লেনদেন হবে না। লাইসেন্স হারানো ব্যাঙ্কটি লোন দেওয়া – নেওয়া সংক্রান্ত কোনও কাজও করতে পারবে না। মধ্যপ্রদেশে বন্ধ হওয়া ব্যাঙ্কটি গুণাতে অবস্থিত এবং ওই ব্যাঙ্কটির নাম গ্রহ সরকারি ব্যাঙ্ক। লাইসেন্স বাতিলের পরে গ্রহ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও তেমনই নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। ওই ব্যাঙ্কটি নেগেটিভে রান করছে, এই মুহুর্তে তাদের অর্থভাণ্ডার শূন্য।
একথা জানার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে। তবে আরবিআইয়ের তরফে সাধারণ গ্রাহকদের আস্বস্ত করে বলা হয়েছে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, ওই ব্যাঙ্কে যেসব গ্রাহকের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে, তারা প্রত্যেকে ব্যাঙ্কের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। তবে এফডির মাত্রা যদি 5 লক্ষ টাকার বেশি হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে সেই গ্রাহককে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
Valoooo