Ration Card – পশ্চিমবঙ্গে বদলে গেল রেশন তোলার নিয়ম, আর লাগবেনা আঙ্গুলের ছাপ? নতুন নিয়ম জেনে নিন।
পুরনো সিস্টেম আর নয়, নয়া পদ্ধতিতে তুলতে হবে রেশন পরিষেবা (Ration Card).
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের (NFSA) আওতায় রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ Ration Card এর মাধ্যমে নিয়মিত খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে থাকেন। অধিকাংশ মানুষ রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে যে সুবিধা পেয়ে থাকেন সেই সংক্রান্ত সুবিধা কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারের তরফেই বিভিন্নভাবে রেশন কার্ড (Ration Card) হোল্ডারদের দেওয়া হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও রেশন কার্ডের বেশ কিছু ক্যাটাগরি অনুযায়ী রাজ্যবাসিকে সুবিধা দিচ্ছে।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ শুধু নয়, এই মুহূর্তে অনেক মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষেরাও নিয়মিত রেশন সংগ্রহ করেন। আর তাই রেশন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের তরফে একাধিকবার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরেও দেখা গিয়েছে, রেশনের মাধ্যমে এক শ্রেণীর ডিলাররা নিয়মিত দুর্নীতি করে থাকে। তারপরেই প্রযুক্তিতে কাজে লাগিয়ে রেশন ব্যবস্থাকে (Rationing System) আরও স্বচ্ছ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এবার আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর জুড়ে (Aadhaar Ration Link) দেওয়া হচ্ছে। রেশন কার্ড (Ration Card) হোল্ডারদের রেশন ডিলারের কাছে গিয়ে খাদ্যশস্য নেওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন চেক করা শুরু হয়। একজন গ্রাহকের আঙুলের ছাপের স্ক্যান আধার কার্ডের স্ক্যানের সঙ্গে মিললে তবেই রেশনে খাদ্যশস্য নেওয়া যায়। যেহেতু প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা হয়েছে, তাই রেশনে গ্রাহকদের খাদ্যশস্য তোলার সময় যথেষ্ট হয়রানির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে।
এমন অভিযোগ উঠে থাকে যে, বয়স্ক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে অনেক সময় আঙ্গুলের ছাপ না মেলার কারণে রেশনে খাদ্যশস্য পাওয়া যায় না। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঙুলের বায়োমেট্রিক স্ক্যান (Biometric Scan) বদলে যেতে পারে। আঙুলের রেখায় পরিবর্তন হলে Scanning- এর সঙ্গে তা আর ম্যাচ করেনা। ফলে রেশন তুলতে গিয়ে সমস্যার সামনে পড়তে হয়। আর তাই এবার যাতে সেই সমস্যা না হয়, সেই কারণে এবার থেকে আঙুলের ছাপ নয়, রেশন কার্ড হোল্ডারের চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রেশনে খাদ্যশস্য (Ration Card) দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথমেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে রেশন গ্রাহকদের রেটিনা স্ক্যান করে খাদ্যশস্য দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানে দেখা হবে এই ব্যবস্থায় কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা হচ্ছে। এই পাইলট প্রজেক্ট এর জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই ৫ জন নির্বাচিত রেশন ডিলারের কাছে রেটিনা স্ক্যান করে খাদ্যশস্য নেওয়া যাবে। তার জন্য রেশন ডিলারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঠিকভাবে সমস্ত কিছু চললে সারাদেশে এই ব্যবস্থা লাগু করা হবে। তখন আর রেশন তুলতে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চোখের রেটিনার স্ক্যান রিপোর্ট একই থাকে। চোখের রেটিনা সেভাবে সাধারণত বদলায় না। এই কারণেই আধারের সঙ্গে আঙুলের বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি চোখের রেটিনা স্ক্যান যোগ করা হবে। সেই রেটিনা স্ক্যান আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডকেও জুড়ে দেওয়া হবে। এপ্রিল মাস থেকে এই প্রজেক্ট চালু হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে রেশন ব্যবস্থায় রেটিনা স্ক্যানের সিস্টেম চালু হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্র দিচ্ছে 5 লক্ষ টাকার সুবিধা, এই প্রকল্পের সুবিধা কিভাবে পাবেন জেনে নিন।
পশ্চিমবঙ্গে দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প চলছে। যার মাধ্যমে রাজ্যবাসী উপকৃত হচ্ছেন। ডিলাররা এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প (Ration Card) বন্ধ করার জন্য আদালতে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। আদালতের নির্দেশে রাজ্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালিয়ে যেতে পারছে।
Written by Satadal Ghosh.