Ration Card E-KYC

দেশের জনসাধারণের জন্য রেশন কার্ড(Ration Card) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন ফ্রির রেশন পাওয়া যায়, বাজার দামের চাইতে কম মূল্যে দ্রব্য সামগ্রী পাওয়া যায়, ঠিক তেমনভাবে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ও সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পাওয়ার জন্য রেশন কার্ড(Ration Card) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ধারণ করে। আসলে রেশন কার্ড শুধুমাত্র সরকারি সাহায্যের জন্য যে ব্যবহার হয় তা নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

বিভিন্ন জায়গায় রেশন কার্ড (Ration Card) কোন ব্যক্তির আইডেন্টিটিটি প্রুফ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি রেশন কার্ড(Ration Card) নিয়ে নতুন একটি নিয়ম জারি করা হয়েছে। যদি আপনিও রেশন সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত এই কাজটি সেরে ফেলুন। কোন কাজ সারতে হবে? আসুন সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাক।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই বদলে যাচ্ছে 6 নিয়ম! পকেটে চাপ পড়বে আমজনতার

Ration Card New Rule 2024

নানান জায়গায় শোনা যাচ্ছে রেশন দুর্নীতির কথা। রেশন কার্ড(Ration Card) নিয়ে ক্রমাগত চলছে কালোবাজারি। আর সেই দুর্নীতি ও কালোবাজারি রুখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ব্যবস্থা। বাধ্যতামূলক হচ্ছে রেশন কার্ডের (Ration Card) কেওয়াইসি

কালোবাজারি বন্ধে সব রকম দিক থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। মথুরায় চলছে রেশন কার্ডধারীদের ই-কেওয়াইসি -র সঙ্গে লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া। হাজার হাজার মানুষ তাই পৌঁছে যাচ্ছেন রেশনের দোকানে। সেখানে ই-কেওয়াইসি করেছেন। আর এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে রেশনের কালোবাজারি ও জাল রেশন কার্ড তৈরি করাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

রেশন কার্ডের(Ration Card) ই-কেওয়াইসি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সেই বিষয়ে তথ্য প্রদান করার সময় জেলা সরবরাহ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, জেলায় রেশন কার্ডের সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ উণসত্তর হাজার। এছাড়া ১৮ লক্ষ ৯ হাজার ইউনিট রয়েছে।

তিনি এ বিষয়ে আরও বলেন, সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল কার্ডধারী ও ইউনিটের ক্ষেত্রেই ই-কেওয়াইসি করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গোটা জেলা জুড়ে সমস্ত রেশন দোকানে বসানো হয়েছে ই-পাস মেশিন। প্রচুর মানুষ ই-কেওয়াইসি করার জন্য দোকানে আসছেন।

বছরে 3টি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন এক্কেবারে ফ্রিতে! রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণায় ঘুম উড়লো সবার

Ration Card E-KYC Update 2024

তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন যে, উপভোক্তারা ই-কেওয়াইসি করতে পারেন নিকটবর্তী রেশনের দোকানে ডিলারদের কাছ থেকেই। আর তার জন্য রেশন কার্ডধারীদের মোটেই জনসেবা কেন্দ্রে অথবা অন্যত্র ঘুরে বেড়াতে হবে না। সাধারণ মানুষের ঝক্কি কমবে। আর ই-কেওয়াইসি রেশন ডিলাররা এটির জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকানে ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।

আর এই বিভাগটি ২০ দিনের মধ্যে রেশন কার্ডধারীদের মধ্যে প্রায় ৩০% E-KYC সম্পন্ন করেছে বলে খবর মিলছে। তাঁদের লক্ষ্য আগস্ট এর মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। যারা ই-কেওয়াইসি করবেন তাদের আধার কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সেই ব্যক্তিদের আঙ্গুলের ছাপ ই-পিওএস মেশিনের মাধ্যমে স্ক্যান করে নেওয়া হবে।

মেশিনটি এমনই যে এর দ্বারা ভুল মোবাইল নম্বরও সংশোধন করে নেওয়া সম্ভব। তাই প্রত্যেক রেশন কার্ড উপভোক্তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই কাজটি সেরে নিন। নয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার রেশন পরিষেবা। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রেশন কার্ড দুর্নীতি অনেকটাই কমবে। পাশাপাশি, কেউ আর অন্যের নামে রেশন নিতে পারবেন না।