পুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য দারুন সুখবর। পূরণ হলো বহুদিনের বেতন বৈষম্য ও সম্মান।
রাজ্যের শিক্ষক ও রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ ইস্যুতে বহুমাস থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন। বিগত সময়ে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে একাধিকবার অসন্তোষের খবর সামনে এসেছে। রাস্তায় নেমে মিছিল বিক্ষোভ দেখিয়ে নিজেদের দাবিতে অনড় তারা। এই DA নিয়ে শীর্ষ আদালতে চলছে মামলা। আবার অন্যদিকে শিক্ষকদের অসন্তোষ তো আরও তুঙ্গে।
স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি ও বেতনবৈষম্য
এসবের মধ্যেই বড় খবর রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য। রাজ্য সরকার এবার তৈরি করতে চলেছে তাঁদের জন্য বিশেষ প্রমোশন নীতি। এখন থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্যও থাকবে ‘প্রমোশন নীতি’। রাজ্য সরকার এ বার স্কুল শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য ‘‘প্রমোশন নীতি’’ তৈরি করতে চলেছে। সরকারি এবং সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলিতে শিক্ষক, শিক্ষিকা বা প্রধান শিক্ষকদের জন্য কর্মজীবনে প্রমোশন নীতি ঠিক কি হবে, তা ঠিক করার জন্য গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের কমিটি।
আরও পড়ুন, রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ! পূজোর মাসে বাড়তি রেশনের ঘোষণা, দেখেনিন আপনি কতটা পরিমাণ রেশন পাবেন।
পাশাপাশি, এর ফলে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাধিক ক্ষেত্রে অনেকটাই লাভ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ, শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য পুজোর আগেই এলো বিশাল বড় খবর। তবে, কবে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়, সেটাই দেখার৷ উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বিস্তারিত দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কবে এই নিয়ম কার্যকর হবে সেই বিষয়ে।
আরও পড়ুন, পুজোর আগেই আবার অতিরিক্ত ছুটি। পশ্চিমবঙ্গের স্কুল কলেজ অফিস বন্ধ। কবে ও কি কারনে জেনে নিন।
তবে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় তার মধ্যেই এই খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই, এই প্রমোশন নীতি চালু আছে কলেজের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের মধ্যে। এবার সেটিই কার্যকর করা হবে৷ অর্থাৎ, এই প্রমোশন দেওয়া হবে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষকদের কর্মজীবনেই।
পুজো উপলক্ষ্যে ফ্রি করে দিলো AirTel. জলের দামে মোবাইল রিচার্জ।
এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রধানত দুটি লাভ। প্রথমত প্রোমোশন হলে আর্থিক দিক দিয়ে উপকৃত হবেন। সিনিয়রিটি বাড়বে। আর অন্যদিকে সামাজিক সম্মান ও বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, গত বছর শিক্ষা দপ্তর কে প্রশাসনিক বদলীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো।
এর অর্থ হলো, একজন শিক্ষক যে সারা জীবন শুধু স্কুলেই ক্লাস করবেন, সেটা বাধ্যতামূলক না করে, তাদের কে প্রশাসনিক পদ ও দেওয়া যেতে পারে। যেমন SI, DI, AI কিম্বা শিক্ষা অফিসার প্রভৃতি। এর মানে এটাই দাঁড়ায় আগত ভবিষ্যতে শিক্ষকদের প্রোমোশন নিয়ে আরও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
আমাদের WhatsApp এ ফলো করুন।