Primary TET Scam – পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো শিক্ষকদের জেলাভিত্তিক তালিকা, 32000 এর মধ্যে কত জন আসল নকল।
West Bengal Primary TET Scam:
Primary TET Scam তথা ভুয়ো শিক্ষক ধরতে পদক্ষেপ সরকারের, আর রেহাই নেই।
জালিয়াত ধরতে নেমেছে শিক্ষা দপ্তর। যে পেশার দায়িত্ব, সমাজের নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সেই পেশাতেই সবচেয়ে বড় দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং বেনিয়ম। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থার কি পরিস্থিতি? ছাত্র-ছাত্রীদের যারা শিক্ষাদান করবেন, সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ নিজেরাই জালিয়াতি করে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি করছেন।
সম্প্রতি সেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Teachers Recruitment Scam) তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের তরফেও একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে আর দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে। যোগ্য শিক্ষকরা যাতে চাকরিতে নিয়োগ হতে পারেন। আর সেই দিকে নজর দিয়েই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফে এবার জেলা ভিত্তিক সেন্ট্রাল ডেটাবেস (District Wise Central Database) তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলাভিত্তিক যে সমস্ত ভুয়ো শিক্ষকরা (Primary TET Scam) এখন চাকরি করছেন, তাদের ধরার জন্যই এই পদক্ষেপ।
এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় এমন বহু শিক্ষক চাকরি করছেন, যারা বিভিন্ন বেনিয়মের (Primary TET Scam) সাহায্যে চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে নেওয়ার জন্যই এই ডেটাবেস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
ভুয়ো শিক্ষক (Fake Teacher) ধরতে শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই সেন্ট্রাল ডেটাবেসের মধ্যে কোন জেলায় শিক্ষকরা কাজ করছেন, কার সুপারিশে চাকরিতে নিয়োগ পত্র পেয়েছেন, সেই সমস্ত তথ্য রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক জেলার শিক্ষকের নাম, সুপারিশের মেমো নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য থাকবে এই সেন্ট্রাল ডেটাবেসে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বহু শিক্ষক অন্য কারো সুপারিশের মেমো নম্বর কারচুপি করে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।
সেই সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এর পরেই ভুয়ো শিক্ষক ধরার অভিযানের নেমে পড়েছে শিক্ষা দপ্তর। পাশাপাশি, শিক্ষকদের স্যালারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সমস্ত তথ্য এই নতুন ডেটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ফলে রাজ্যজুড়ে ভুয়ো শিক্ষক খোঁজার জন্য কাজ শুরু করেছে সরকার।
আরও পড়ুন, প্রাইমারি টেট মামলা নিয়ে নতুন ঝামেলা
যদিও এই প্রসঙ্গে একাধিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, ভুয়ো শিক্ষক ধরা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনি এই দুর্নীতির মাথায় কে রয়েছেন, সেটা প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। আর এই টাকা গুলো কোথায় গেল, সেই বিবৃতিও প্রকাশ করুক। Primary TET Scam বা ভুয়ো শিক্ষকদের কারা চাকরি দিয়েছেন, সেই ডেটাবেজ ও প্রকাশিত হোক। আর Primary TET Scam আর মামলার কারন দেখিয়ে যে বছরের পর বছর নতুন নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে, সেটা চালু করা হোক।