Primary TET 2014 – 32000 প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত, আদালত থেকে সরাসরি।

দিনের পর দিন জল ঘোলা হচ্ছে টেট মামলা নিয়ে, তবে যত দ্রুত সম্ভব Primary TET 2014 এর ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে (Kolkata High court). এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানান, ৩২ হাজার শিক্ষকের যে মামলা কলকাতা (32 Thousand Primary Teachers Recruitment Cancel Case) হাইকোর্টকে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে, তা যত শীঘ্র সম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করতে হবে।

Primary TET 2014 Supreme Court judgement

ফলে মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়টি (Recruitment Scam) নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। ২০১৪ সালের প্রাইমারী টেট (Primary TET 2014) পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এবার সেই শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তোলে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাকারীদের বক্তব্য, বহু যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। NCTE-র গাইডলাইন না মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই শিক্ষক নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি, তাদের আরও অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেট (Primary TET 2014) পাশদের নিয়োগ করার সময় কোনো রকমের Aptitude Test নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানির জন্য ওঠে।

Primary TET 2014 (প্রাইমারী টেট মামলা)

আর সেখানেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই বিতর্কিত রায় ঘোষণা করেন। যে নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যে সমাজ জীবনে বহু চর্চা হয়েছে। মামলাটির শুনানিতে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) প্রথমে Primary TET 2014 মামলার ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ঐ শিক্ষকদের পরবর্তী ৩ মাস প্যারাটিচারের হারে স্যালারি নিতে হবে বলে জানান।

প্রাথমিকে 2016 সালের পর নিয়োগ পাওয়া সমস্ত শিক্ষকদের তালিকা চাইলো আদালত।

৪ মাস সময় দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। পুনরায় ইন্টারভিউ নিয়ে যোগ্যপ্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে বলা হয়। এবার প্রথমে যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সেখানে ফের তা তিনি সংশোধন করেন। ভুল হয়ে যায় বলে পরবর্তীতে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। আর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

 শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারের বড় পরাজয়, বহাল থাকল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেওয়া হয়। তার সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এক্ষুনি ওই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে না। তবে কলকাতা হাইকোর্টকে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কলকাতা হাইকোর্টকে দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে রায় যদি পছন্দ না হয় তাহলে শিক্ষকদের ফের সুপ্রিম কোর্টে আসার পথ খুলে রেখে দেন। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের রায় যদি ঐ ৩২ হাজার শিক্ষকের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারেন।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button