Post-Office-SchemePost-Office-Scheme

বর্তমানে টাকা রোজগারের পাশাপাশি বিনিয়োগের প্রতি সমাজের অধিকাংশ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। আর বিনিয়োগের প্রসঙ্গ আসলেই পোস্ট অফিসের নাম চলে আসে (Post Office Scheme)। আগেও এবং এখনো পর্যন্ত বিনিয়োগের অন্যতম ভরসার মাধ্যম হল পোস্ট অফিস (Post Office Scheme) কর্তৃক চালু হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পগুলি। যেখানে টাকা রাখলে রিটার্নের গ্যারান্টি তো থাকেই, সঙ্গে থাকে বিপুল লাভের সুবিধা (Post Office Scheme)।

পোস্ট অফিস সকলের জন্যই প্রয়োজনীয় স্কিম এনেছে। তার মধ্যে একটি অত্যন্ত লাভজনক স্কিম নিয়ে (Post Office Scheme) আজকে আলোচনা করা যাক। ‌আপনারা যদি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে থাকেন, টাকা জমিয়ে ভালো রিটার্ন পাওয়ার আশা করে থাকেন, তাহলে আজকের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মন দিয়ে পড়ে নিন। আপনাদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

Post Office Scheme 2024

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হয় সবাইকেই। তাই ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের জন্য মাঝেমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্কিম নিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস (Post Office Scheme)। প্রকল্প গুলি সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এই সব প্রকল্পের উচ্চ সুদের হার, দারুন লাভের সুযোগ ইত্যাদি কারণে পোস্ট অফিসে টাকা জমানোর পরিমাণ ও আগ্রহ মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকটাই বেড়েছে (Post Office Scheme)।

শুধু তাই নয়, টাকা বিনিয়োগের জন্য বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি একাধিক প্রকল্প চালু রয়েছে তা সবার কমবেশি জানা। কিন্তু তার মধ্যেও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে ও ভরসা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। আর সেখান থেকে দেখতে গেলে পোস্ট অফিসের সমস্ত প্রকল্প অত্যন্ত সুবিধাজনক। ভরসার কারণে এবং লাভ পাওয়ার কারণে সেই সকল প্রকল্পে বিনিয়োগ করছেন সমাজের সাধারণ মানুষ। (Post Office Scheme)।

পোস্ট অফিসের একটি দারুন স্কিমের সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রধানত সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পোস্ট অফিস এই লাভজনক স্কিম চালু করেছে। অবশ্যই আপনারা এই স্কিমে বিনিয়োগ করুন। তবে টাকা জমানোর আগে পোস্ট অফিসের স্কিমের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে। নিয়মকানুনগুলির সম্পর্কে আগের থেকে জানা থাকলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তাই দেরি না করে চটপট পড়ে নিন আজকের সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।

LIC এর প্রিমিয়াম না দিলেও LIC Policy বন্ধ হবেনা। নতুন নিয়ম জারি হলো।

Post Office Scheme: ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’

১৯৮৮ সালে পোস্ট অফিসের তরফে চালু করা হয়েছিল ‘কিষান বিকাশ পত্র’ নামক স্কিমটি। এই প্রকল্পটিতে আর্থিক সঞ্চয়কে উৎসাহিত করতে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প চালুর দিকে নির্দেশ করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল এই দেশের কিষান তথা কৃষকদের জন্য। প্রকল্পের নাম থেকে তাই বোঝা যাচ্ছে।

কিন্তু বাস্তবে বর্তমানে এই প্রকল্পের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন এই দেশে বসবাসকারী যে কোন সাধারণ মানুষ। এই প্রকল্পটি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের জন্য টাকা জমানোর পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলি কী কী? আসুন এবার সেই বিষয় জেনে নেওয়া যাক। এই প্রকল্পটি অত্যন্ত লাভজনক তো আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পে কিভাবে লাভ পেতে পারেন, কিভাবে টাকা দ্বিগুণ হওয়া সম্ভব। সবটাই বিস্তারিত জানতে হবে।

‘কিষান বিকাশ পত্র’ স্কিমের নিয়ম কানুন

  • পোস্ট অফিসের ‘কিষান বিকাশ পত্র’ (Kisan Vikas Patra) স্কিমটিতে গ্রাহকরা বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে।
  • এখানে বিনিয়োগের কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। কোনো গ্রাহক যদি এই স্কিমে ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন বলে ঠিক করেন তবে স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে প্যান কার্ড প্রদান করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
  • ৫০০০০ টাকার বেশি ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করার নিয়ম জারি আছে।
  • এছাড়া,কোনো গ্রাহক যদি ১০ লক্ষ কিংবা তার বেশি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে চান তবে বিনিয়োগ কারীকে জমা দিতে হবে তাঁর বেতন স্লিপ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং আধার নম্বর, আইটিআর-এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।

Post Office RD Scheme – মাত্র 333 টাকা দিয়ে 17 লক্ষ টাকার লাভযুক্ত গ্যারেন্টিসহ রিটার্ন পাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিস

‘কিষান বিকাশ পত্র’ প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা

  • বর্তমানে পোস্ট অফিসের ‘কিষান বিকাশ পত্র স্কিমে’ ৭.৫% হারে সুদ দেওয়া হয়।
  • কিষান বিকাশ পত্র স্কিমটি ৯ বছর ৭ মাসে অর্থাৎ ১১৫ মাসে তার গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্বিগুণ করার গ্যারান্টি দেয়।
  • যদি কোনো গ্রাহক ‘কিষান বিকাশ পত্র’ স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে বিনিয়োগের পর ১১৫ মাস অর্থাৎ ম্যাচুরিটি সময় তিনি ১০ লক্ষ টাকার রিটার্ন পাবেন।
  • এই ‘কিষান বিকাশ পত্র’ স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার তারিখ থেকে গ্রাহক ২ বছর ৬ মাস পরে অকাল প্রত্যাহার করতে পারেন।
  • এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ও বিশেষ পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় প্রি-ম্যাচিওর ডিপোজিট করা সম্ভব।

‘কিষান বিকাশ পত্র’ প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া

পোস্ট অফিসের এই জনপ্রিয় স্কিমে যদি একজন ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তবে পোস্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। একাউন্টটি খোলার জন্য যে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সেগুলি হল- আধার কার্ড, বয়সের শংসাপত্র, পাসপোর্ট ছবি, কেভিপি আবেদনপত্র ইত্যাদি নথি।

একজন ব্যক্তি ১৮ বছর বয়স হলেই এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া ১০ বছরের বেশি বয়সী সন্তানদের জন্য তাঁর বাবা-মা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।