Population Census

বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতের জনগণনা থমকে (Population Census). তবে অবশেষে আরম্ভ হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত জনগণনা (Population Census) বা আদমশুমারির প্রক্রিয়া। চলতি বছর জনগণনা(Population Census) করতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। যা জানা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে, প্রায় ১৩ বছর পর হতে চলেছে ভারতের জনগণনা (Population Census).

খুব সম্ভবত আগামী মাস থেকেই জনগণনা প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে(Population Census). গোটা প্রক্রিয়াটি চলবে প্রায় দেড় বছর। সূত্রের খবর, আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশের জনগণনা রিপোর্ট প্রকাশ করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার(Population Census).

সরকারি কর্মীদের DA নিয়ে বড় খবর! আবার বাড়ছে মহার্ঘ ভাতা! পুজোর আগেই সুখবর পাবেন কর্মীরা?

Population Census In India

ভারতবর্ষে জনগণনার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু দেশে ২০১১-র পর আর জনগণনা হয়নি (Population Census). ২০১১ -এর পর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার ছিল(Population Census).

কিন্তু সেই সময় করোনা অতিমারীর জেরে প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শোনা গিয়েছিল, জনগণনা হতে পারে ২০২৩ সালে(Population Census). কিন্তু ভোটের আগে মোটেও সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে চিত্র বলছে মোদি জমানায় একবারের জন্যও হয়নি জনগণনা(Population Census).

আর সেই নিয়ে সরকারের অন্দরে নানান প্রশ্নও ওঠে। যদিও ১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি ১০ বছর অন্তর করা হয়। কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত একবারও জনগণনা হয়নি। আর এতেই বিভিন্ন মহলের অভিযোগ। বিষয়টিতে রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন বিরোধীরা।

আপনার আধার কার্ড আসল তো? বুঝবেন কিভাবে? এই পদ্ধতিতে চেক করে নিন আধার কার্ডের বৈধতা

Population Census In India 2024

এরইমধ্যে অর্থনীতিবিদদের একটা অংশ বলছে, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের তরফে যাবতীয় যা যা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বা পরিকল্পনা চলছে তার সবটাই হচ্ছে সেই ২০১১ সালের তথ্যের উপর ভর করে। যার ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি আধিকারিকদেরও। এর পাশাপাশি, সরকারের ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও বেশ গুরুতর সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

নিঃসন্দেহে ২০১১ এর পর ভারতবর্ষের জনসংখ্যা বেড়েছে। অন্তত তেমনটাই ধারণা বিভিন্ন মহলের। তাই জনগণনার দাবিতে সরকারের অন্দরেও ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। অবশেষে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

এ বিষয়ে সরকারি সূত্রের খবর, আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা গৃহীত হয়েছে। আর সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বলা যায় প্রায় ১৫ বছর পর জনগণনার তথ্য প্রকাশ হতে চলেছে।