PM Mandhan Yojana

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প এনেছে। বর্তমানে প্রচুর মানুষ এই প্রকল্পগুলির দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করে মহিলাদের হাতে মাসিক হাত খরচা তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা দিতে আনা হলো নতুন প্রকল্প।

আজকে আমরা আলোচনা করব প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা(PM Mandhan Yojana) এই প্রকল্পটির বিষয়ে। কিভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী মানধনা যোজনা(PM Mandhan Yojana) প্রকল্পের আবেদন যোগ্যতা কি? কিভাবে আবেদন জানাবেন? বিস্তারিত রইল আজকের এই প্রতিবেদনে।

পুজোর আগেই বাড়ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা? বড় আপডেট জেনে নিন

PM Mandhan Yojana 2024

কেন্দ্রীয় সরকারের একটি জনকল্যাণকারী স্কিম হল প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা(PM Mandhan Yojana). এই স্কিমে সাহায্য পেয়ে থাকেন দেশের কিষানরা। প্রতিমাসে তাঁরা পেয়ে যাবেন নূন্যতম ৩০০০ টাকা পেনশন। তবে যদি স্কিমের অন্তর্গত কোনো সুবিধাভোগী কৃষক দুর্ঘটনার কারণে মারা যান, তবে এই যোজনার ৫০ শতাংশ করে টাকার সুবিধা পাবেন তাঁর স্ত্রী। অর্থাৎ তিনি সরকারের মানধন যোজনার(PM Mandhan Yojana). আওতায় প্রতিমাসে পাবেন দেড় হাজার টাকা। বর্তমানে সারা দেশের প্রায় ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন কৃষক এই স্কিমের সুবিধা ভোগ করছেন।

PM Mandhan Yojana Eligibility

কেন্দ্রের এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। আবেদনকারীকে পেনশন তহবিলে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে হবে। আবেদনকারীর বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও উল্লেখ করতে হয়, এই স্কিমের একটি গুরুত্বপুর্ণ শর্ত আছে। আর সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।‌

এই স্কিমের সুযোগ পেতে হলে আবেদনকারী কৃষকদের একটি পেনশন তহবিলে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে হবে। মোটামুটি প্রায় ২৯ বছর বয়স নাগাদ প্রতিমাসে তাঁকে ১০০ টাকা করে রাখতে হবে। আপনারা জেনে নিন, এই প্রকল্পের টাকা পরিচালনা করে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকার জীবন বীমা কর্পোরেশন।

সবাইকে 5000, 10,000 টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার! নতুন প্রকল্পে খুশির জোয়ার বাংলায়

PM Mandhan Yojana Application

এই স্কিমে আবেদন করার জন্য কৃষকদের প্রথমে ভিজিট করতে হবে কমন সার্ভিস সেন্টারে। তিনি তালিকাভুক্ত ও পূর্ব শর্তগুলি বিবেচনা করে নিজ সঙ্গে করে অবশ্যই নিয়ে আসবেন আধার কার্ড ও আইএফএসসি কোড-সহ সেভিংস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর। সেখানে আবেদনকারী কৃষকের আধার কার্ডে গ্রাহকের নাম ও জন্ম তারিখ যাচাই করে নেওয়া হবে।

যাচাইকরণ চলবে উক্ত সেন্টারে উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে। কৃষকদের গ্রাম পর্যায়-এর অফিস থেকে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এর পরের ধাপে আবেদনকারীর ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিবরণ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইলের ঠিকানা দিয়ে দিতে হবে।‌ এছাড়াও যদি আপনি প্রকল্পে আবেদন জানাতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে অবশ্যই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রকল্প সম্পর্কিত শর্ত ও নিয়মগুলি জেনে নেবেন।