Conjunctivitis – স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে অতিমারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস, কিভাবে বাঁচবেন?
ছড়িয়ে পড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis), চোখ বাঁচাতে কি করবেন, কি করবেন না, চিকিৎসকরা কি বলছেন।
সম্প্রতি একটি অসুখ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে, যেটিকে Conjunctivitis বা চোখ ওঠা বলা হয়। দিন কয়েকের জ্বালা, কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, থাকতে হচ্ছে সাধারণত ঘরেই, বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই, ঘরে ঘরেই দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মানুষের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে হালকা জ্বলুনি, চোখে কড়কড়ে ভাব, একটা অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে।
Treatment Conjunctivitis
বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে খুব দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই অসুখটি। তবে চিকিৎসকদের কথায়, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসাও (Conjunctivitis Treatment) করতে হবে।
এই অসুখটির নাম হল কনজাংটিভিটিস (Symptoms Conjunctivitis) এর উপসর্গ একমাত্র চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখের মধ্যে প্রদাহ বা জ্বলুনি, কনজাংটিভা (Conjunctiva) নামে একটি চোখের সামনের দিকের আস্তরণ থাকে। যদি লাল হয়ে যায় বা প্রদাহ কিংবা জ্বলুনি হয়, তাহলে সেই অসুখটিকেই জয়বাংলা বা কঞ্জাংটিভিটিস বলা হচ্ছে। এটিকে আবার পিংক আইও (Pink Eye) বলা হয়। তবে অনেকে এই কনজাংটিভিটিসকে জয় বাংলা বলে থাকেন।
কেন চোখ লাল হয়ে যাওয়ার এই অসুখকে জয়বাংলা বলা হয়?
তারা আসল কারণ হলো, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘরে ঘরে এই চোখ লাল হয়ে যাওয়ার অসুখ কনজাঙ্কটিভাইটিস ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই কারণেই এই অসুখটির নাম হয়ে যায় জয় বাংলা। যদি কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়, তাহলে কি কি সতর্কতা নেবেন, কি করবেন, সেই বিষয়ে চিকিৎসকরা কি বলছেন একবার জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন, সামনের মাসে ফের ছুটি পড়ছে রাজ্যের সকল স্কুল কলেজ গুলোতে, দেখে নিন লিস্ট।
Types of Conjunctivitis
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, কনজাঙ্কটিভাইটিস মূলত দুই ধরনের হয়। ব্যাকটেরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস এবং ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস। সাধারণত Bacterial ইনফেকশন অধিকাংশ সংখ্যায় হচ্ছে। তবে কি ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে, সেটা একমাত্র চিকিৎসকেরাই দেখে বলতে পারবেন।
Conjunctivitis eye drop
চিকিৎসকদের কথায়, যদি একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তির কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়, তাহলে একই কনটেন্ট থেকে ড্রপ ব্যবহার করবেন না। সে ক্ষেত্রে ক্রস ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ বাতাস থেকে যে ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস চোখের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, সেখান থেকে সুরক্ষা দেয় এই চশমা।
তবে সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।