পেনশন বন্ধ! ঘুসের বদলে পেনশন, সরকারী কর্মীদের Pension পেতে কালঘাম ছুটছে।

ঘটনা জানলে চমকে যাবেন! চাকরির মেয়াদ শেষ, আর পেনশন চাইতেই তিক্ত অভিজ্ঞতা।
চাকরির জন্য টাকা চাইতে দেখা গিয়েছে, ঘুষ দিতে দেখা যায়। কিন্তু কখনো দেখেছেন, একজন সরকারি কর্মী অবসর গ্রহণের সময় পেনশনের জন্য তাকে ঘুষ দিতে হবে? এরকম ঘটনাই ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। যেখানে চাকরীর পর পরই যেন পেনশন চালু করা যায়, সেই লক্ষ্যে বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কথা ভেবে অনলাইন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্য সরকার, সেখানে চাকরীর আটমাস পর ও পেনশনের জন্য বার বার ঘুরতে হচ্ছে।

পেনশন পেতে হয়রানিঃ

ঘুষ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগকে কেন্দ্র করে মামলা চলছে আদালতে। সিবিআই ইডি তদন্ত করছে। ঠিক এরকম সময়েই একজন শিক্ষিকা যখন অবসর গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তখন তার পেনশনের কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ চাইছে। আর কয়েকজন অসাধু কর্মীদের জন্য গোটা সিস্টেম এর বদনাম হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লক এর কেশপুর স্কুল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ক্লার্কের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষিকার অবসরকালীন কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ করলেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিবেদিতা সরকার। তিনি আগামী ৩১ মার্চ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করবেন। নিয়ম অনুযায়ী তার আগেই পেনশন সহ সমস্ত নিয়ম মোতাবেক কাগজপত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিতে হয়।

আর তার পরেই সেই সরকারি কর্মীর অবসরকালীন সমস্ত প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই অবসরের কাগজপত্র তৈরির জন্য বিদ্যালয়ের ক্লার্ক তুষারকান্তি দলুই এর বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবং তার সঙ্গে এই ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে মদত দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী মান্না, এরকমটাই অভিযোগ ওই শিক্ষিকার।

আরও পড়ুন, সরকারী কর্মীদের বাড়ি বানানোর টাকা দিচ্ছে সরকার, অনেকেই এই নিয়ম জানেন না।

তবে কেশপুর গার্লস স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষিকা নিবেদিতা সরকার টাকা দিতে রাজি নন। আর তার জন্য প্রায় ৮ মাস ধরে তাকে শুধু ঘুরতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছেন তিনি। তার অভিযোগের তীর মূলত প্রধান শিক্ষিকার দিকে। তিনি ক্লার্ককে দিয়ে এই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন বলেই অভিযোগ নিবেদিতা সরকারের।

পশ্চিমবঙ্গে DA ইস্যুতে বড় জয়, বহু বাঁধা পেরিয়ে আদালতের সবুজ সংকেত মিললো।

এই ঘটনায় একাধিকবার DI বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বলে জানান তিনি। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। তারপর DI কে চিঠি লিখে মঙ্গলবার বেলা দুটোর পর তার চেম্বারের সামনে ধরনায় বসে পড়েন ওই শিক্ষিকা। আর সেই ধর্নার খবর পায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তখনই নড়েচড়ে বসেন ডিআই। তবে এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা কোনো মন্তব্য করেননি।
সংবাদসুত্র, এইসময়। Written by Satadal.

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button