School Teacher – পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর, স্কুল খুলতেই পেলেই বহু প্রতীক্ষিত সুখবরটি।
রাজ্যের শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো শিক্ষা দপ্তর। চাকরি করছেন এক জায়গায়, আর পিএফ একাউন্ট রয়েছে অন্য জায়গায়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। যার ফলে পিএফ একাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় রাজ্যের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের। দীর্ঘদিন ধরেই তারা অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Online Provident Fund) সমস্ত পরিষেবা পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
Online Provident Fund account for School Teacher
এবার জানা গিয়েছে, রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের (School Education Department) পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের অনলাইন প্রভিডেন্ট ফান্ড (Online PF) পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। যাতে তাদের পিএফ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেতে কোনো অসুবিধা না হয়। নিজেরাই যাতে নিজেদের PF একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
School Education Department order
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে অর্থ দপ্তরের এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল। যাতে খুব শীঘ্রই শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের জন্য অনলাইন প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবা চালু করে দেওয়া যায়। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধি (Election Code of Conduct) চালু হয়ে গেছে। ফলে এক্ষুনি বিকাশ ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে জানা গিয়েছে, নির্বাচন মিটে গেলেই রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের জন্য অনলাইন প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। যে কোনোদিন সেই প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে চালু করে দিতে পারে সরকার। এবার কিভাবে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা এই অনলাইন প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবায় সুবিধা পেতে পারেন?
কি কি সুবিধা পাবেন?
প্রতিটি শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের (School Teacher and non teaching staff) অনলাইন পিএফ পরিষেবা নেওয়ার জন্য এটিএম কার্ড এর মত একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। নিজেদের পিএফ আইডি তৈরি করে নিতে পারবেন তারা। এই পিন নম্বর থেকে দিয়ে রাজ্যের বাংলার শিক্ষা পোর্টালে লগইন করে তারা নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। শুধু তাই নয়, পিএফ এর মাধ্যমে যে সমস্ত ঋণ সংগ্রহ করা হয় সেই পদ্ধতিও এবার অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন, 16% ডিএ ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরাট সুখবর।
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। অনলাইন পরিষেবা চালু হলে বাংলার শিক্ষা নামের এই পোর্টালে তারা আইডি অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কর্মীদের পিএফ একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। তখনই তারা যে কোনো জায়গা থেকে পোর্টালে লগইন করে নিজেদের পিএফ একাউন্ট আপডেট জানতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা অন্য কোনো জায়গায় বদলি হলে তাদের পিএফ একাউন্টটি পুরনো জায়গাতেই থেকে যায়। ফলে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েন তারা। অন্য স্কুলে বদলি হয়ে গেলে তাদের প্রোফাইল ট্রান্সফার হয়ে যায় অনলাইনে। এবার অনলাইন পরিষেবা চালু হলে প্রোফাইল ট্রান্সফারের সঙ্গেই পিএফ একাউন্টটিও ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
রাজ্যের বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠনের (School Teacher) একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকেরা তাদের অপছন্দের কোনো শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্ট আপডেট করে দেন না। এক্ষেত্রে Online PF Account Update পরিষেবা চালু হলে প্রধান শিক্ষকেরা সেটা আপডেট করতে বাধ্য হবেন। ফলে এই সমস্যাটিও মিটে যাবে। পাশাপাশি, শিক্ষক- শিক্ষিকা (School Teacher) এবং শিক্ষাকর্মীরা অবসর গ্রহণের পরে পি এফ এর টাকা তুলতে যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়েন।
অনলাইন পরিষেবা চালু হয়ে গেলে অবসর গ্রহণের পর পিএফ একাউন্ট থেকে টাকা তোলার সমস্যা সম্পূর্ণ মিটে যাবে। তবে এই অনলাইন পরিষেবা চালু করার আগে বিকাশ ভবনকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা ডিরেক্টরেট এর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর বা স্কুল ইন্সপেক্টররা যারা বদলি হয়েছেন তাদের নতুন আইডি আপডেট করতে হবে।
আরও পড়ুন, প্রাইমারী টেট মামলার রিপোর্ট জমা পড়লো, 32000 School Teacher চাকরি বাতিল
আইডি আপডেট না করলে আগামী দিনে শিক্ষকদের (School Teacher) আইডি আপডেট করতে পারবেন না। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মন্ডল বলেন, দুই বছর আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এতদিন পরে সেই দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা আনন্দিত।
প্রাইমারী টেট পাশদের ইন্টারভিউ শুরু, 32000 বাতিল শিক্ষকের যায়গায় নতুন প্রার্থীদের চাকরী?
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার বলেন, রাজ্যের শিক্ষক- শিক্ষিকা (School Teacher) এবং শিক্ষাকর্মীদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা ভেবে রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপ করে এটাই তার প্রমাণ। আশা করি অনলাইন পিএফ পরিষেবা চালু করে রাজ্য সরকার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সুবিধা করে দেবেন।