পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের ফের বেতনবৃদ্ধি, সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত।

ফের একবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধি হতে চলেছে। মূলত, সে মর্মেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল গুলিতে কর্মরত প্রধান শিক্ষকদের জন্য। এক্ষেত্রে ফের সেই পুরোনো নিয়ম ফিরে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যে প্রতি ১০ বছর অন্তর বেতন কাঠামো পরিবর্তিত হয়। নতুন পে কমিশনে বেশ কিছু নিয়ম কানুনের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে অদল বদল। তবে এবারে আবার একটি নিয়ম ফিরে আসতে চলেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জন্য।

এবারে অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধি অনুসারে নতুন বেতন পাবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের ফের বেতনবৃদ্ধি, সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত। ফের রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ফিরিয়ে আনা হল ২০১৯ সালের বেতন কাঠামো। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই পুরোনো বেতন কাঠামোকে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে রোপা চালু হওয়ার পর সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে যেসব কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেবেন, তাঁদের ‘ফিক্সেশনাল বেনিফিট’ বা স্থায়ী সুবিধা দেওয়া হবে।

স্থায়ী সুবিধার সাথেই মিলবে অতিরিক্ত তিন শতাংশ হারে বর্ধিত বেতনও। তবে গত বছরের মে মাসে ফের শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ী সুবিধা দেওয়া হলেও, তাঁদের আলাদা করে অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট বা অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষা দফতরের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। এরপর প্রধান শিক্ষকরা এই বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে একে একে শীর্ষ আধিকারিকদের জানান।

অবশেষে চলতি বছরে ফের ফিরিয়ে আনা হল ২০১৯ এর বেতন সংক্রান্ত নিয়ম। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকদের ফের অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে। শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তা জানানো হয়েছে। তবেপ্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়ার পরেও শিক্ষক মহলের একটা বড় অংশ এখনও খুশি নন।

কারণ, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জন্য আলাদা করে কোনো বেতনবৃদ্ধির ব্যবস্থা নেই। আবার, মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলির তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষকদের উপর কাজের চাপ অনেকটাই বেশি থাকে। রাজ্যের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, “সরকার যখন অর্থ দফতরের দোহাই দিয়ে ইনক্রিমেন্ট তুলে নিল তখন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। মন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলাম।

আধার লিংক করা না থাকলে বঞ্চিত হবেন অনেক সুবিধা থেকে, বিস্তারিত দেখে নিন।

আজ সেই ইনক্রিমেন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হল। এটা না করলে কোনও গুণী শিক্ষক, প্রধানশিক্ষক হতে চাইতেন না। আমরা আরও দাবি করছি, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের হয় স্পেশাল পে বা অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হোক।” আবার অন্যদিকে, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়।

মিড ডে মিল এর খরচ কমাতে শিক্ষকদের জরুরী নির্দেশ, কি কি করতে হবে জেনে নিন।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। গত বছর প্রধানশিক্ষকদের অ্যাডিশনাল ইনক্রিমেন্ট বা অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধির বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছিল। এ বার সেই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা কখনওই কাম্য নয়।”
Written by Parna Banerjee.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button