Mid Day Meal – স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পের খাদ্য তালিকা বদল। প্রত্যেক স্কুল কে এই মেনু অনুযায়ী খাবার দিতে হবে।
রাজ্য জুড়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal প্রদান করে থাকে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারও এতে অবদান রাখে। এ রাজ্যে শিক্ষার পাশাপাশি মিড ডে মিল পরিষেবাতেও দুর্নীতি সহ ছাত্রছাত্রীদের সঠিক খাবার না দেওয়ার অভিযোগ করা উঠেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এরই মাঝে পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের মেনু বেঁধে দেওয়া হলো। পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
New Menu for Mid Day Meal
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্য যে মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal দেওয়া হয় সেখানে এতদিন পড়ুয়াদের ভাগ্যে জুটতো শুধু ভাত আর ডাল। তার সঙ্গে মাঝে মধ্যে দেওয়া হতো তরকারি। কারণ মিড ডে মিলের জন্য মাথা পিছু 14 টাকা করে দিয়ে থাকে সরকার। আর এই অর্থ থেকেই মিড ডে মিলে ভাত ডাল ও একটি তরকারি দিয়ে আসছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে খাবারের গুণমান যে খুব ভালো তাও নয়।
কিন্তু এবার থেকে আর এমনটা হবে না। পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন ওই জেলার সমস্ত স্কুলের মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal এর মেনু নির্দিষ্ট করে দিল। এই মেনু অনুযায়ী দৈনিক পড়ুয়াদের খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় 3 হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে। এর আগে এই প্রত্যেকটি স্কুল নিজেদের মতো করে মেনু ঠিক করে নিত।
রাজ্যের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সুখবর। নতুন নিয়ম চালু করলো শিক্ষা দপ্তর।
তবে এর ফলে ওই জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। যেমন মিড ডে মিলে যে খাবার পড়ুয়াদের দেওয়া হতো তা সঠিক গুণ মান সম্পন্ন নয়। মিড ডে মিলে মান সম্পন্ন খাবার দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময় স্কুল গুলিতে বিক্ষোভ ও দেখা গিয়েছে। এর জেরেই জেলা প্রশাসন খাদ্য তালিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।
জেলা পরিষদের শিক্ষা স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তুনু কোনার। এ বিষয়ে শান্তুনু কোনার জানিয়েছেন, “পড়ুয়াদের পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করা হয়েছে। জেলার স্কুলগুলিকে এই মেনু অনুযায়ী মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal এর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিনের জন্য নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।”
রাজ্যে মিড ডে মিলে নতুন খাবার তালিকা। নতুন কি কি থাকবে? পড়ুয়া ও শিক্ষকরা জানুন।
তবে এর পরই শিক্ষকদের একাংশ মিড ডে মিল তথা Mid Day Meal এ বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। কৃষ্ণপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলে জানিয়েছেন, “নির্দেশ মতো স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়। তবে সরকারের কাছে আবেদন, বরাদ্দ বৃদ্ধির দিকটি নজর দেওয়া হোক।”