এই ব্যবসা শুরু করলে মাত্র 1000 টাকার পুঁজিতে লাভ দেখলেই চমকে যাবেন। বিস্তারিত দেখুন।

ব্যবসা করা ছাড়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে আর্থিক উন্নতি করা খুব সহজ কাজ নয়। নতুন ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ভালো পরিমাণ অর্থ আয়ের সম্ভাবনা আছে। কোন ব্যবসাকে বাজারে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতির পথে আগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রথমেই দরকার সাহস। আর পুঁজির দিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর। আজকের এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগিয়ে নিজেকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন অনেকেই। আসুন পুরোটা জেনে নেওয়া যাক।

মাশরুম চাষের ব্যবসায় খুব কম পুঁজিতে করা যায় প্রচুর লাভ।

বাজারে মাশরুম ফসলের চাহিদাও প্রচুর। আর এই ফসলের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এর ফলে ডাক্তারি পরামর্শেও এখন দেখা মিলছে এই মাশরুমের। এই ফসলের বাজারে খুব চাহিদাও রয়েছে। অনেকে আবার মাশরুমের দেশ বিদেশে বাজারজাতকরণের দিকেও বিশেষ আগ্রহী। তবে কিভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা, কোথায় মাল বিক্রি করবেন। বৃহৎ আকারে করতে গেলে ঋণ কোথায় পাবেন, সে সকল বিষয়গুলি জেনে নেওয়া যাক।

মাশরুম চাষ করতে গেলে যেই তাপমাত্রা দরকার, তা আমাদের দেশে শুধুমাত্র গরমের সময় বাদ দিয়ে সারা বছর ধরেই পাওয়া যায়। এই চাষে কোন ধরণের রাসায়নিক সারের দরকার পড়েনা। আর খুব একটা কীটনাশকের দরকা লাগে না। ফলে এই সকল খরচের বহর না থাকায় পুঁজিও লাগে খুব কম। আর খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন লাগে না। সেক্ষেত্রে ঘরের ভেতরেই করা যায় এই চাষ।

এই ব্যবসা করলেই মাসে 50000 টাকা নিশ্চিত আয়ের সুযোগ! ভাগ্য খুলে যাবে।

এই চাষ শুরু করতে গেলে প্রথমেই যা দরকার তা হল মাশরুমের বীজ। এরপর বেড তৈরি করতে হয়। সেক্ষেত্রে কাঠের গুঁড়ো, প্লাস্তিকের প্যাকেট, খড়, গমের ভুষি ইত্যাদি দরকার হয়। এই সকল জিনিস গুলি প্রথমে বিশুদ্ধিকরন করে নিয়ে তারপর চাষের জন্য প্রস্তুত করতে হয়। এই মাশরুম চাষের জন্য সরকারের তরফ থেকে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই ধরণের ফসল খুব শৌখিন, তাই খুবই সাবধানতা অবলম্বন করেই করতে হয় এই চাষ।

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলে প্রতি প্যাকেট থেকে 3-4 বার ফসল পাওয়া যায়। তবে আপনি এই চাষ করার আগে অবশ্যই হাতে কলমে ট্রেনিং নিয়েই ব্যবসায় নামুন। বাজারে অনেক রকমের মাশরুম পাওয়া যায়। তবে যার চাহিদা প্রচুর, সেই সকল প্রজাতির মাশরুমের চাষ করা উচিৎ। সেক্ষেত্রে মিল্কি মাশরুম এর ফলন খুব বেশি। এছাড়া বাটন মাশরুমের চাহিদা অনেক বেশি। তবে এর ফলন অনেকটাই কম।

হাতখরচের টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করুন, খদ্দেরের লাইন পড়ে যাবে, লাভ 40%.

তবে প্রথমে এই বীজ খুব অল্প দামে সংরহ করার চেষ্টা করুন। পড়ে অভিজ্ঞ হয়ে গেলেই আপনি এই মাশরুমের স্পন বা বীজ নিজেই ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুঁজি অনেকটাই কমে যাবে। এই ধরণের চাষের জন্য পাওয়া যায় সরকারি সাহায্য। বিশদ আকারে ব্যবসা করতে গেলে আলাদা করে ঘর তৈরি করতে পাওয়া যায় সরকারি লোন। সেই সকল বিষয়ে নিজস্ব ব্লক অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলে বেশ ভালো সুবিধা মেলে। এমন আরও নিত্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া পেতে দেখেতে থাকুন আমাদের প্রতিবেদন। এছাড়া আপনার মতামত আমাদের জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button