Public Provident Fund – PF একাউন্টে টাকা রাখলে আজই করে ফেলুন একাজ, নাহলে এপ্রিলের 1 তারিখ থেকেই ভোগান্তি শুরু! বিস্তারিত দেখুন।

Public Provident Fund বা PPF হল ভারতে একটি সঞ্চয় প্ল্যান যেখানে এপনি আপনার আয়ের বাড়তি অংশকে সুরক্ষার সাথে জমা করতে পারবেন। এর জন্য পাওয়া যায় ট্যাক্স সেভিং করার সুবিধা। ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউট দ্বারা চালু হয়েছিল এই স্কিম। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে ক্ষুদ্র সঞ্চয়গুলিকে একত্রিত করা এবং আয়কর সুবিধার সাথে মিলিত যুক্তিসঙ্গত রিটার্ন। তবে এবারে মূল বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

Public Provident Fund সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে আপডেট থাকা জরুরী।

৩১ শে মার্চের আগে সমস্ত Public Provident Fund হোল্ডারদের এই কাজটি করতেই হবে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ সরকার দ্বারা পরিচালিত একটি স্বল্প সঞ্চয় স্কিম, যেখানে আপনি ১৫ বছর পর্যন্ত টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে ১৫ বছর হয়ে যাবার পরেও আপনি আরও ৫ বছরের জন্য টাকা বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়াতে পারেন। এই পিপিএফের মেয়াদ পূরণ হবার পরে আপনি একসাথে মোটা টাকা পেয়ে যাবেন।

ভারতের প্রতিটি নাগরিক এই Public Provident Fund – এ বিনিয়োগ করতে পারেন। Public Provident Fund অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে গ্রাহকদের ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে থাকে সরকার। গ্রাহকরা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা রাখা টাকার ওপর ঋণের সুবিধাও পান। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, টানা তিন বছর পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করার পরে আপনি অ্যাকাউন্টে জমা করা মোট পরিমাণের ৭৫ শতাংশ টাকা পর্যন্ত ঋণ হিসাবে নিতে পারেন।

আবার Public Provident Fund অ্যাকাউন্টে একটানা ৬ বছর বিনিয়োগ করার পরে তা থেকে আংশিক টাকা তোলার সুবিধাও এখানে দেওয়া হয়। ১৫ বছরের মেয়াদ পূরণের আগে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে কেবলমাত্র জরুরি অবস্থায় টাকা তোলা যায়। নিজের বা পরিবারের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা ও বিয়ের খরচের জন্য পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা রাখা টাকা তুলতে পারেন।

আপনি যদি পিপিএফ গ্রাহক হয়ে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন, ৩১ মার্চের আগে নিজের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম বিনিয়োগ করতেই হবে আপনাকে। যদি বিনিয়োগ না করেন তাহলে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। আমাদের দেশে মার্চ মাস থেকে আর্থিক বর্ষ শুরু হয়।তাই আপনি যদি একজন পিপিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হন , তবে ২০২২ – ২০২৩ আর্থিক বছরে নূন্যতম একবার নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতেই হবে।

এই ব্যাংকে টাকা রাখলেই 9.5% হারে সুদ, সুযোগ হাতছাড়া হয়ে না যায়! বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।

তাই ৩১ শে মার্চের আগে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা বিনিয়োগ করুন। নচেৎ আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। সরকারের পিপিএফ স্কিমের অধীনে প্রত্যেক গ্রাহককে এক বছরে ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হয়। এখানে বিনিয়োগের ফলে আপনি আয়করের ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধাও পাবেন। আপনি যদি ২০২২ সালের মার্চ থেকে

প্রধানমন্ত্রী বাংলা আবাস যোজনার টাকা পেতে এইভাবে আবেদন করুন।

এখনও অবধি এই স্কিমে এক টাকাও বিনিয়োগ না করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ৩১ মার্চের আগে এই কাজ করুন। নাহলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টকে ফের সক্রিয় করতে আপনাকে প্রতি বছর ৫০ টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মেয়াদ পূরণেঋ ১৫ দিন আগে পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করা সম্ভব। তবে মেয়াদ পূরণ হয়ে গেলে পরে আর এই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করা সম্ভব হবে না।Written by Parna Banerjee.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button